জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) নবনির্মিত শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হলের লিফটে আটকা পড়েছেন এক শিক্ষার্থী।
বুধবার (২৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও ত্রুটিজনিত কারণে এ ঘটনা ঘটে। এর প্রায় বিশ মিনিট পর দুইজন কর্মচারী লিফট খুলে তাকে উদ্ধার করেন।
ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান সাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, “বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় নিচতলা থেকে ষষ্ঠ তলায় লিফটে ওঠার সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। তখন আমার কাছে ফোন থাকায় হেল্পলাইনে অনেকবার কল দিয়েছি কিন্তু লিফটের ভেতরে নেটওয়ার্ক না থাকায় কল যায়নি। তাই আমি লিফটের ভেতরে থাকা ইন্টারকমে প্রেস করি। প্রায় বিশ মিনিট পর দুইজন কর্মচারী আমাকে উদ্ধার করতে আসেন। কিন্তু উপস্থিত হলে কোনো টেকনিশিয়ান না থাকায় লিফট খুলতে তাদের বেগ পোহাতে হয়।”
তিনি আরও বলেন, “উদ্ধারের সময় আমার হাতে চোট লাগে। লিফটে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন না থাকায় আমার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। আমার পুরো শরীর ঘেমে যায়। হল কর্তৃপক্ষের কর্মতৎপরতা ও দায়িত্বহীনতার কারণেই আজ আমাকে এ অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু সমাধান চাই। আমার মতো কোনো শিক্ষার্থী যেন এমন পরিস্থিতিতে আর না পড়ে এই বিষয়ে হল প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”
এর আগে ৩ জুন সোমবার বিদ্যুৎ চলে যাওয়া ও যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে নবনির্মিত হলের লিফটে এক শিক্ষার্থীর টানা ৩ ঘণ্টা আটকে থাকার ঘটনা ঘটে। পরে বিদ্যুৎ এলে তারও দুই ঘণ্টা পর বিকেল সাড়ে ৪টায় একজন কর্মচারী লিফট খুলে তাকে উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আলমগীর কবির বলেন, “বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর সবচেয়ে কাছের ফ্লোরে গিয়ে লিফট খুলে যাওয়ার কথা, কিন্তু কেন যেন এআরডি সিস্টেম কাজ করছে না। ৩ জুনের ঘটনার পর লিফট কোম্পানির সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে বসেছিলাম, তারা এক মাসের সময় চেয়েছে। এর মধ্যেই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে।”