সারা দেশে জুলাই বিপ্লবীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদ ও তাদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদল।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের (ডেইরি গেট) সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শামসুজ্জামান সায়েম বলেন, “গত ১৫ বছর স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশের বিভিন্ন স্থানে যে স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা রেখে গেছে, তা এখনো দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতীয়মান। তার পতনের পরেও তার রেখে যাওয়া ছাত্রলীগ-যুবলীগের গুন্ডারা এখনো জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী, সাধারণ জনতা ও শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের চাওয়া অতিদ্রুত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাসহ তাদের দলের অন্য নেতাকর্মীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করা হোক।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আদনান করিম বলেন, “সারা দেশে জুলাই বিপ্লবীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা এবং তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে যদি ছাত্রলীগ বা আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা পুনরায় এ ধরনের হামলায় লিপ্ত হয় তাহলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল সাধারণ ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে এর দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জাকিরুল ইসলাম বলেন, “সারা দেশে বিপ্লবী ছাত্র-জনতার ওপর স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পেটুয়া বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে আজকের এই মানববন্ধন। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের মানুষের কোনো স্বাধীনতা ছিল না, শাসনব্যবস্থা, শিক্ষাব্যবস্থা সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছিল। এরই ফলশ্রুতিতে সারা বাংলাদেশের মানুষ ও ছাত্র-জনতা এক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশকে স্বাধীন করে। শত শত ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে ৫ আগস্ট স্বৈরাচারীর পতন হয়। আমরা যেভাবে স্বৈরাচারকে উৎখাত করতে পেরেছি, ঠিক একইভাবে তার দোসরদেরও উৎখাত করার জন্য প্রস্তুত আছি। বিপ্লবীদের রক্তের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে, সেটা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিপ্লবীদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।”