জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ২০ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ছয় মাসের জন্য নতুন এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আরিফ সোহেল ওই নতুন কমিটি ঘোষণা করেন।
নতুন কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফুজ্জামান উজ্জ্বলকে আহ্বায়ক এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তৌহিদ সিয়ামকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।
নবগঠিত কমিটির অন্যরা হলেন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান শাহরিয়ার, যুগ্ম আহ্বায়ক নাসিম আল তারিক ও ফারহানা বিনতে জিগার, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ, যুগ্ম সদস্যসচিব নাহিদ হাসান ও ইমরান হোসেন, মুখ্য সংগঠক নাকিব আল মাহমুদ, সংগঠক জান্নাত উল ফিরদাউস ও মোহাম্মদ রায়হান, মুখপাত্র মালিহা নামলাহ। সদস্য হিসেবে রয়েছেন নাফিজ উর রহমান, কাউসার আল আরমান, তানভীর আহমেদ, মার্ফিউর রহমান চৌধুরী, রাঈদ হোসেন, গালিব হাসান।
এ ছাড়া উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসচিব আরিফ সোহেল এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মেহেরাব সিফাত।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আরিফ সোহেল বলেন, জুলাই- আগস্টের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যান। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক কমিটিতে যারা ছিলেন, তারা তাদের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে দাবানলের মতো নিজেদের বুকে আগলে রেখে তারা এগিয়ে গেছেন। ঝড়ঝঞ্ঝা সামলে আজকে তাঁরা এ পর্যায়ে এসেছেন। আগামী ছয় মাসের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিগগরিই এ কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হবে।
নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভূমিকা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আমরা চাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে গুরুত্বপূর্ণ এ জায়গা থেকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে। কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু যে আন্দোলন পরবর্তীতে গণ–অভ্যুত্থানে রূপ নেয়, সে আন্দোলনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে আমরা স্বীকার করি। এ কমিটি গণ–অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে প্রতিশ্রুতি ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার, তা প্রতিষ্ঠায় আমরা কাজ করব।”