পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং নির্মাণ কাজ চলাকালে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান। তিনি বলেছেন, “সরকারি অর্থ ব্যয়ে কোনো প্রকার অনিয়ম ও দুর্নীতি সহ্য করা হবে না।”
২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে এডিপিভুক্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ইউজিসি অডিটোরিয়ামে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তানজীমউদ্দিন খান বলেন, “বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে গেট ও ম্যুরাল নির্মাণে অপ্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইউজিসির কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।”
তানজীমউদ্দিন খান আরও বলেন, “ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সমাজের মানুষের প্রতি অঙ্গীকার বাস্তবায়নে দুর্নীতিমুক্ত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।”
ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর আবু নঈম শেখ, ইম্প্রুভিং কম্পিউটার অ্যান্ড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং টারশিয়ারি এডুকেশন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আমিনুল হক আকন্দ, হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন প্রকল্পের পরিচালক প্রফেসর ড. আসাদুজ্জামান, ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক শাহ মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ৩৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।