কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক জনকণ্ঠ ও দৈনিক রূপসী বাংলার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ইকবাল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ডেইলি সানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি কাতিব হাসান মুরাদ।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সংগঠনের উপদেষ্টা শতাব্দী জুবায়ের ও নাহিদ ইকবালের অনুমোদনক্রমে এবং সংগঠনের সদ্য সাবেক সভাপতি সাজ্জাদ বাসার ও সাধারণ সম্পাদক সাফায়িত সিফাত স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি গঠনের বিষয়টি জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই কমিটি ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান।
কমিটিতে সহসভাপতি হিসেবে আছেন দৈনিক কালের কণ্ঠের বিল্লাল হোসেন স্বাধীন, সাম্প্রতিক দেশকালের শারমিন আক্তার কেয়া। যুগ্ম-সম্পাদক হিসেবে আছেন সংবাদপ্রকাশের আবু সাঈদ এবং দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশের জাভেদ রায়হান। অর্থ সম্পাদক হিসেবে আছেন দৈনিক ভোরের আকাশ ও রাইজিং বিডির এমদাদুল হক, দপ্তর সম্পাদক হিসেবে আছেন চ্যানেল২৪ এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ইমতিয়াজ হাসান রিফাত, তথ্য ও পাঠাগার সম্পাদক হিসেবে আছেন দৈনিক আমাদের সময়ের অনন মজুমদার, কার্যনির্বাহী সদস্য-১ এ আছেন দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার ফাতেমা রহিম রিন্স, কার্যনির্বাহী সদস্য-২ এ আছেন দৈনিক ভোরের দর্পণের আল-আমিন হোসেন।
ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “সাংবাদিকতা এমন একটা পেশা যা সম্পূর্ণভাবে স্বচ্ছ। কারণ, তারা যা জানে এবং প্রমাণ পায় তার থেকেই সংবাদ করে ৷ এর মতো নির্ভীক পেশা আর আছে কি না আর জানি না। তাই সাংবাদিকদের আহ্বান করি সততার সঙ্গে আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়কে তুলে ধরেন।“
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, “সাংবাদিকতা একটি আদর্শ পেশা বলে মনে করি। কিন্তু এই আদর্শ পেশাটিও নষ্ট হচ্ছে এমন কিছু মানুষের কাছে গিয়ে যারা এর মর্যাদা দিতে জানে না। সততা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে এই মহান পেশার সম্মান করতে হবে ৷ প্রমাণের বাইরে নিজে থেকে কিছু লিখে দিলে তো আর সেটা সংবাদ হয় না।”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়কে আমি এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আর সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি ৷ এপিএ-তে এখন দশম স্থানে আছি। সামনেরবার প্রথম স্থানে নিয়ে আসবো। আমার শিক্ষার্থীরা এতে সহযোগিতা করবে বলে আমার বিশ্বাস।”
সদ্য বিদায়ী কমিটির সভাপতি সাজ্জাদ বাসার বলেন, “কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব আমার আবেগের জায়গা। এদের যোগ্যতা আমি জানি। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে এরা সর্বোচ্চ কাজ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ যদি দুর্নীতি করে সেটা যেমন আমরা লিখবো, তেমনি উন্নয়নের সংবাদও ফলাও করে প্রচার করব।”
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির, আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখ, ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ, নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলের প্রভোস্ট মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন মজুমদার, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম মাওলা, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এন এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী, ক্রীড়া কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ আইনুল হক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি কাজী এম. আনিছুল ইসলাম প্রমুখ।