গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা এইচএসসির সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী হবে। মেধাতালিকায় স্থান পেতে শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় সর্বনিম্ন ৩০ নম্বর পেতে হবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য নির্দিষ্ট হারে নম্বর কাটা হবে।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এসব তথ্য জানান।
অধ্যাপক ইমদাদুল হক বলেন, “এইচএসসির সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ীই এবার ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যে সিলেবাস অনুযায়ী বোর্ড পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে ওই একই সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা হবে।”
তিনি বলেন, “এবার ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সর্বনিম্ন ৩০ নম্বর পেয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে।”
ইমদাদুল হক জানান, গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকা ২২টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারের মোট আসন সংখ্যা ২১ হাজার ১১৮টি। এর বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৩ লাখ ৩ হাজার ২৩১টি। যেখানে ‘এ’ ইউনিটে (বিজ্ঞান) আসন সংখ্যা ৯ হাজার ৮৭৫টি। ‘এ’ ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ১৭ জন। ‘বি’ ইউনিটে (মানবিকে) আসন সংখ্যা ৭ হাজার ৭৪৬টি। ‘বি’ ইউনিটে আসন প্রতি লড়বে ১৩ জন। ‘সি’ ইউনিটে (বাণিজ্য) আসন সংখ্যা ৩ হাজার ৪৯৬টি। ‘সি’ ইউনিটে প্রতি আসনে লড়বে ১২ জন শিক্ষার্থী।
আগামী ২০ মে মানবিক বিভাগ, ২৭ মে বাণিজ্য বিভাগ ও ৩ জুন বিজ্ঞান বিভাগের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ফল প্রকাশ করা হবে আগামী ৮ জুনের মধ্যে।
২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র ঠিক করা হয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের যেকোনো একটি কেন্দ্র নির্বাচন করতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরবর্তী সময়ে পরিবর্তন করা যাবে না। সময়ক্ষেপণ রোধে এবার একটি মেধাতালিকা ও আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি অপেক্ষমাণ তালিকা হতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেওয়া হবে।
ভর্তি পরীক্ষার সব তথ্য গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে (www.gstadmission.ac.bd) পাওয়া যাবে।
গুচ্ছভুক্ত ২২টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙ্গামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোনা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী), কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ) এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁদপুর)।