• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অভিবাসন সংকট: স্টুডেন্ট ভিসায় আরও কঠোর হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৮, ২০২৪, ০৪:৩১ পিএম
অভিবাসন সংকট: স্টুডেন্ট ভিসায় আরও কঠোর হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া
স্টুডেন্ট ভিসায় আরও কঠোর হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। ছবিঃ সংগৃহীত

উচ্চশিক্ষায় অস্ট্রেলিয়া গমনেচ্ছুদের  স্টুডেন্ট ভিসার নিয়ম আরও কঠোর করছে অস্ট্রেলিয়া। শুক্রবার (১০ মে) থেকে অস্ট্রেলিয়ার স্টুডেন্ট ভিসার নিয়ম আরও কঠোর করছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।  অভিবাসী শ্রমিক এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কারণে সে দেশের জনসংখ্যা রেকর্ড পরিমাণে বাড়ছে বলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।

বুধবার (৮ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন সঞ্চয়ের পরিমাণ আরও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আগামী শুক্রবার (১০ মে) থেকে নতুন এই নিয়ম কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।

অস্ট্রেলিয়ার ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে আন্তজার্তিক শিক্ষার্থীদের এবার থেকে কমপক্ষে ২৯ হাজার ৭১০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার (১৯ হাজার ৫৭৬ মার্কিন ডলার) সঞ্চয়ের প্রমাণ দেখাতে হবে। এর আগে গত বছরের অক্টোবর মা থেকে দেখাতে হতো ২৪ হাজার ৫০৫ ডলার।  

স্টুডেন্ট ভিসায় নতুন এই নিয়ম ঘোষণার পাশাপাশি অবৈধ পন্থায় শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে দেশটির বেশ কিছু কলেজকে সতর্ক করা হয়েছে।

২০২২ সালে করোনা মহামারির বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর অনেক শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় চলে যায়। এতে দেশটিতে বাসা ভাড়া অনেক বেড়ে যাওয়ার ঘটনায় সরকারের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। তাই অভিবাসী নীতি কঠোর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এ লক্ষ্যে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে স্টুডেন্ট ভিসার নিয়ম কঠোর করার জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেয় অস্ট্রেলিয়া।

এছাড়া চলতি বছরের মার্চ মাসে অস্ট্রেলিয়া নতুন এক ঘোষণায় জানায়, স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে এবার থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ইংরেজি পরীক্ষায় আরও বেশি রেটিং পেতে হবে। এছাড়া দেশটিতে থাকা কোনো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করলে সেটি আরও বেশি যাচাই-বাছাই করা হবে।

নতুন এই ভিসা নীতি আগামী দুই বছরে দেশটির অভিবাসী গ্রহণের পরিমাণ অর্ধেক করতে পারবে বলে অস্ট্রেলিয়া আশা করছে।

‘অভিবাসী ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে’ উল্লেখ করে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ চলতি বছরের শুরুতে বলেছিলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসী সংখ্যাকে একটি সহনীয় পর্যায়ে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নিল সংবাদ সম্মেলনে জানান, এ লক্ষ্যে সরকারের সংস্কার উদ্যোগগুলো ইতোমধ্যে মোট অভিবাসী সংখ্যা নিম্নমুখী করছে এবং অভিবাসী সংখ্যা প্রত্যাশিত মাত্রায় কমাতে আরও অবদান রাখবে।

Link copied!