চেকপোস্টে পুলিশি চেকিং থেকেই মহানগর নির্মাণের চিন্তাটি মাথায় আসে বলে জানিয়েছেন তরুণ নির্মাতা ও লেখক আশফাক নিপুণ।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের জেএমসি মিডিয়া ক্লাব আয়োজিত একটি সেমিনারে এ কথা জানান তিনি।
মহানগর সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আশফাক নিপুণ বলেন, “আমার নিজের ব্যক্তিগত জীবনে নিয়মিত একই চেকপোস্টে চেকের নামে হয়রানির শিকার হই। যখনই আমি কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করি, কেন প্রতিদিন আমার কাছে কিছু না পেয়েও আমাকে চেক করা হচ্ছে? আদৌ কি কিছু পাওয়া যায়? এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলার পর থেকে আমাকে চেক না করলেও প্রত্যেকদিন আমার সিএনজি থামিয়ে আমাকে দাড় করিয়ে রাখা হতো। এ ঘটনাগুলোর পর থেকেই মূলত আমার মাথায় এসেছে। সে চিন্তা থেকেই এই গল্পটি।”
আশফাক নিপুণ তার মূল বক্তব্যে বলেন, “আমি কাজ পারি না। আমি আসলে শিখছি। ভালো কিছু করতে হবে, নতুন কিছু করতে হবে। আর নতুন কিছু করলেই এর আবেদন সবসময় থাকবে। কিন্তু নতুন কিছু করার মধ্যে অনেক ঝুঁকি থাকে। তাই ঝুঁকি নিয়েই কাজ করতে ভালো লাগে।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন বলেন, “বিনোদনে অনেকগুলো ভাগ থাকলেও অর্থবহ বিনোদনই হলো মূল। আশফাক নিপুণের মতো নির্মাতাদের জন্যই অর্থবহ ও বাস্তববাদী কিছু সিনেমা আমরা পাচ্ছি। নিপুণদের মতো নির্মাতারাই পারেন আমাদের অর্থবহ, বাস্তববাদী ও প্রয়োজনীয় বিনোদন দিতে। অর্থবহ বিনোদনই পারে আমাদের দেশ ও জাতির কল্যাণ নিয়ে আসতে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপারসন ড. অলিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন গ্রিন ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের প্রধান ড. আফজাল হোসাইন খান, সহকারী স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স মোহাম্মদ সোলায়মান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মনিরা শারমিন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গ্রিন ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক ফোরামের মডারেটর ও ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শামীম মণ্ডল, সাংবাদিকতা বিভাগের লেকচারার শরিফ জাহান, ইব্রাহিম আজাদ প্রমুখ।