‘আমার সুযোগ ছিল, আমি বাইরে চলে যেতে পারতাম। কিন্তু রাজনীতি নেই দেখে আমি বুয়েটে ভর্তি হয়েছি’- এভাবেই আক্ষেপের সুরে গণমাধ্যমকে কথাগুলো বলেছিলেন ছাত্রলীগের হাতে নিহত আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ।
সোমবার (১ এপ্রিল) আদালতের এক রায়ে বুয়েটে পুনরায় ছাত্ররাজনীতি চালু করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এরপরই ছাত্রদের তীব্র আন্দোলন ও দাবির প্রেক্ষিতে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ হয় ছাত্ররাজনীতি।
তখন আবরার ফাহাদের ভাই আবরার ফাইয়াজ মাধ্যমিকের ছাত্র। ভাইয়ের হত্যার তিন বছর পর ফাইয়াজ যখন বুয়েটে ভর্তি হন, তখন সেখানে ছাত্ররাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ। সোমবার ছাত্ররাজনীতি চালুর বিষয়ে আদালতের রায়ের পর আবরার ফাইয়াজ তার ও পরিবারের উদ্বেগের কথা জানান এক গণমাধ্যমে।
ফাইয়াজ বলেন, “বুয়েটে আবার রাজনীতি ফিরে এলে তা হবে আবরার ফাহাদকে দ্বিতীয়বার হত্যার শামিল। এত কিছুর পরও যদি রাজনীতি ব্যাক করে, তাহলে পরে কাউকে মারলেও কোনো প্রতিবাদ হবে না।”
২০১৯ সালে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। একটি রিট আবেদনের পর সোমবার সেটি স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এরপর মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) থেকে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ। দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, বুয়েটে তাদের নতুন রাজনীতি হবে সেশনজট, র্যাগিং-বুলিং, দখল-বাণিজ্য ও হত্যা-সন্ত্রাসবিরোধী রাজনীতি।
সূত্র: বিবিসি