ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচারে শিশু, নারী এবং নিরীহ জনগণ হত্যার প্রতিবাদে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) এবং এর সহযোগী ও সমমনা সংগঠনগুলো প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে তারা এ আয়োজন করে। সমাবেশের শুরুতে বিবৃতি পাঠ করেন এমজেএফের কর্মসূচী সমন্বয়কারী রুমা সুলতানা।
প্রতিবাদ সমাবেশে এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, আমি একটা দুঃখের কথা বলতে চাই। সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিবাদ করছে কিন্তু আমাদের দেশে কোনো প্রতিবাদ নাই। আমাদের জনগণ এত নীরব কেনো? কেনো মানুষের বিবেক জাগ্রত হচ্ছে না? প্রতিদিন টেলিভিশনের সামনে বসলেই আমরা কাফনে মোড়ানো শিশুদের মরদেহ আর মায়েদের আর্তনাদ দেখি। মানুষ গৃহহারা, হাসপাতাল ভেঙে পড়ছে স্কুল ভেঙে পড়ছে। এসব দৃশ্য আর মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। কেনো আমরা প্রতিবাদ করছি না?
তিনি আরও বলেন, আল জাজিরা ও ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইল বোমা হামলার মাধ্যমে ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে যার মধ্যে চার হাজার আটশ জন শিশু রয়েছে। প্রতি ১০ মিনিটে একজন শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও অমানবিক এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এই মুহূর্তে যুদ্ধ বন্ধ হোক।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, আমাদের আগের তিন প্রজন্ম যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখেছে। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মকেও যে এমন নৃশংসতা দেখতে হবে তা কল্পনা করা যায় না। আমরা চাই দ্রুত এই যুদ্ধের অবসান হোক।
আওয়াজ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাজমা আক্তার বলেন, মানবাধিকার সংস্থাগুলো কোথায়? তারা এখন নীরব কেনো? ফিলিস্তিনে যা হচ্ছে তা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। আমরা চাই ফিলিস্তিন একটি মুক্ত ও স্বাধীন রাষ্ট্র হোক।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের প্রতিনিধি সিদুল, কর্মজীবী নারীর প্রতিনিধি সানজিদা খানম, আভাস-এর রিজুল এবং তরঙ্গ মহিলা কল্যাণ সংস্থার প্রতিনিধি শামীমা।
উল্লেখ্য, এমজেএফ ২০০২ সাল থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিশেষ করে সহিংসতার শিকার শিশু ও নারী, প্রতিবন্ধী, দলিত, হরিজন, প্রবাসফেরত নারী অভিবাসী, আদিবাসী, যুব সমাজের সেবা ও অধিকার বিষয়ে কাজ করে আসছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৪০০টি সহযোগী সংগঠনের প্রত্যক্ষ বাস্তবায়নে এ পর্যন্ত মোট ৩০ লাখ উপকারভোগীর জীবন-জীবিকার মান উন্নয়নে কাজ করেছে।