• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যান্ডের নামে এইচএসসি প্রশ্নপত্রের কোড


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০২৪, ১০:২৪ এএম
ব্যান্ডের নামে এইচএসসি প্রশ্নপত্রের কোড

চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা ১ম পত্রের এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নের কোড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা তুঙ্গেভ। কেননা এবারে পরীক্ষার প্রশ্ন সাজানো হয়েছে বাংলা ব্যান্ডের নামে!

আটটি বোর্ডের প্রশ্নের কোডগুলোর ছবি ইতিমধ্যে ভাইরাল। তবে শুধু বাংলাদেশি ব্যান্ড দিয়েই সাজানো হয়নি প্রশ্নপত্রের সেট। বরং আছে কলকাতার বাংলা ব্যান্ডের নামও।

ভাইরাল হওয়া ছবিগুলোতে দেখা গেছে এইচএসসির ঢাকা বোর্ডের প্রশ্ন কোড ছিল ক্যাকটাস, রাজশাহী বোর্ডে লালন, চট্টগ্রাম বোর্ডে মাইলস, ময়মনসিংহ বোর্ডে পরশপাথর, কুমিল্লা বোর্ডে পেন্টাগন, বরিশাল বোর্ডে অবসকিউর, যশোর বোর্ডে প্রমিথিউস ও দিনাজপুর বোর্ডের প্রশ্নে মেঘদল ব্যান্ডের নাম।

এছাড়াও বিভিন্ন বোর্ডের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন কোডে ওয়ারফেজ, অ্যাশেস, আভাস ও চিরকুট ব্যান্ডের নাম দেখা গেছে। যা নজরে এসেছে সংশ্লিষ্ট ব্যান্ডগুলোর সদস্যদেরও।

এরমধ্যে মেঘদল ব্যান্ডের দলনেতা ও ভোকাল শিবু কুমার শীল নেট থেকে পাওয়া এসব প্রশ্নপত্র শেয়ার করে লিখেন, “২০২৪ এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন‌ কোডে ‘মেঘদল’! বেশ মজা পেলাম ব্যাপারটায়। আরো অনেক ব্যান্ডের নাম ব্যবহৃত হয়েছে প্রশ্নকোডে।”

অ্যাশেজ ব্যান্ডের দলনেতা ও ভোকাল জুনায়েদ ইভান প্রশ্নপত্র শেয়ার করে লিখেছেন, “২০২৪ এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন‌ কোড সাজানো হয়েছে বাংলা ব্যান্ড এর নামকরন দিয়ে। এবার প্রশ্নের সেট সাজানো হয়েছে ‘অ্যাশেজ’ এবং মাইলস, ওয়ারফেজ, চিরকুট, লালন, আভাস, অবসকিউর ব্যান্ড এর নাম দিয়ে। নিশ্চয়ই বাংলা ব্যান্ড এর জন্য এই উদ্যোগ মাইলফলক হয়ে থাকবে।”

এমন ঘটনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের রক মিউজিক গবেষক গৌতম কে শুভ। এ নিয়ে দীর্ঘ একটি লেখাও পোস্ট করেন তিনি। এ নিয়ে শুভ লিখেন, “যেই দেশে আগে সরাসরি ব্যান্ডসংগীতকে অপসংস্কৃতি বলা হতো। এখনো মুরুব্বীরা বাঁকা চোখেই দেখেন এই ব্যান্ড মিউজিক কালচারকে। স্বাধীনতার পর গুরু আজম খান যখন পাড়া-মহল্লা কাঁপায়ে টিভিতে সবেঢুকেছে তখন রটিয়ে দেয়া হলো তিনি নাকি পোলাপানদের নষ্ট বানাচ্ছেন। আশির দশকেও অনেক টিপন্নি শুনতে হয়েছে ব্যান্ডমিউজিককে। আর উত্তাল নব্বইয়েও কম কথা শুনতে হয়নি তথাকথিত সুশীল সমাজের। এখন সেই দেশের এইচএসসি পরীক্ষার মত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কোডনাম!”

এইচএসসির প্রশ্নপত্রের কোড নিয়ে তরুণ এই গবেষক আরো লিখেন, “সবচেয়ে অবাক হয়েছি পশ্চিমবাংলার পরশপাথর, দোহার, ক্যাকটাস, নিওন এর নাম দেখে! যিনি এই নামকরণ প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন তিনি কলকাতার ‘পরশপাথর’ ব্যান্ডও শুনেছেন। একসময়ের কলকাতায় মোটামুটি জনপ্রিয় এই ব্যান্ডের গান শুনেছেন এমন লোক তো বাংলাদেশে খুবই কম। আমাদের এই প্রজন্ম তো এই ব্যান্ডটার নামই জানে না এমনকি পশ্চিমবাংলার এই প্রজন্মও। সবচেয়ে সবচেয়ে সবচেয়ে ভয়ংকর চমৎকার ব্যাপারে ‘নিওন’ নামে একটি কলকাতার ব্যান্ডের নামও লিখেছে এরা। এই ব্যান্ডের কোনো রিলিজড গান নেই যতদূর জানি। লাইভ কনসার্টে ছিলো। এই ব্যান্ডও শুনেছে! কীভাবে! অনুমান করছি বোর্ডের প্রশ্নপত্রের নামকরণ করা লোকটি নব্বই দশকে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছিলেন; ছিলেন বাংলা ব্যান্ডের ফ্যান। এখনও যিনি ব্যান্ড শোনেন।”

Link copied!