বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সিলেট শিক্ষা বোর্ডের ৮৩ হাজার এইচএসসি পরীক্ষার্থী আগামীকাল মঙ্গলবার পরীক্ষায় বসছে। বন্যার কারণে পরীক্ষা প্রায় ১০ দিন পিছিয়ে দেওয়া হলেও এখনো ডুবে আছে অনেকের বাড়ি-ঘরের আশপাশ। দুই দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। পানি ভেঙে কেন্দ্রে পৌঁছানোই এখন পরীক্ষার্থীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের গয়াসী গ্রামের রুহিত বিশ্বাসের বাড়ি থেকে সাত কিলোমিটার দূরে কাছিম আলী উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র। রুহিত জানায়, চারদিকে বন্যার পানি তাই কেন্দ্রে যেতে হবে নৌকায়। দুই দফা বন্যায় ব্যাঘাত ঘটেছে তার লেখাপড়ায়ও।
সিলেট বিভাগের চার জেলার প্রায় ৮৩ হাজার পরীক্ষার্থীর বেশিরভাগের অবস্থাই এমন। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন অভিভাবকেরাও। তারা বলছেন, ঘরে পানি ঢোকার কারণে ছেলে-মেয়েরা ঠিকমতো পড়ালেখা করতে পারেনি। পরীক্ষায় কী আসবে, কী লিখবে তারা সবই অনিশ্চিত।
বন্যার কারণে সিলেট শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা ৯ জুলাই থেকে শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই মধ্যে সব প্রস্তুতিও নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সিলেট শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল বলেন, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এখন। কেন্দ্রের আশপাশে পানি থাকলেও কেন্দ্রের মধ্যে কোনো পানি নেই। এ কারণে ৯ তারিখে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত।
সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চার জেলার ৩০৯টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৮২ হাজার ৭৯৫ জন শিক্ষার্থী এবার এইচএসসিকে অংশ নিচ্ছে। আর সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে পরীক্ষা কেন্দ্র ৮৭টি।