• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঢাবিতে ‘কেমন গ্র্যাজুয়েট চাই’ সেমিনার অনুষ্ঠিত


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪, ০৮:৪৩ পিএম
ঢাবিতে ‘কেমন গ্র্যাজুয়েট  চাই’ সেমিনার অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থ্যট (বিআইআইটি) কর্তৃক গণ-অভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশে ২.০ শিক্ষা সংস্কার প্রসঙ্গ : কেমন গ্র্যাজুয়েট চাই শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বিআইআইটির মহাপরিচালক ড. এম আবদুল আজিজ।

এম আবদুল আজিজ বলেন, “জাতীয় ঐক্যের মহেন্দ্রক্ষণে দেশে অবহেলিত থাকা শিক্ষা ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ দেশের আপামর জনগণের দর্শন, সংস্কৃতি, ও সভ্যতাকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষানীতি পরিপূর্ণভাবে প্রণয়ন করতে হবে।”

শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব উল্লেখ করে বিআইআইটির মহাপরিচালক বলেন, “আমাদের দেশে শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমান মানুষ। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াও অনানুষ্ঠানিকভাবে সন্তানের ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি সবসময় গুরুত্বারোপ করে এই বৃহৎ ধর্মীয় গোষ্ঠীটি। এরই অংশ হিসেবে দেশের ব্যক্তি অর্থায়নে গড়ে উঠে অসংখ্য মক্তব, এতিমখানা, নূরানী মাদ্রাসাসহ আনুষ্ঠানিক সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষার অনুপস্থিতির সুযোগে, মানুষ যখন অনানুষ্ঠানিক ধর্মীয় শিক্ষার দিকে ঝুঁকছে, ঠিক তখনই কিছু বিষয়ে নতুন করে আশঙ্কাও তৈরি হচ্ছে। অনেক সময়, ধর্মীয় উগ্রবাদ, কুসংস্কার এবং ধর্মের বেশ কিছু বিষয়ে ভ্রান্ত ব্যাখ্যার প্রচার প্রসার ঘটছে। এসব কিছু বিবেচনায়, এ দেশের সর্বস্তরের সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষার অন্তর্ভুক্তি এক প্রকার অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।”

সর্বোপরি পাশ্চাত্য শিক্ষার ক্রমবিকাশ, ইসলামী শিক্ষার ক্রমবিকাশ, পাশ্চাত্য শিক্ষা ও ইসলামি শিক্ষার মধ্যকার মৌলিক পার্থক্য, আধুনিক শিক্ষার ক্রমবিকাশে মুসলমানদের অবদান, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার প্রসারে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিশ্রুতি/নির্দেশনা, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব, বাংলাদেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার পাঠ্যক্রম পর্যালোচনা ও জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১-এর পর্যালোচনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিজের বক্তব্য উপস্থাপনা করেন এম আবদুল আজিজ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন, ওআইসির ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফাজলী ইলাহী, ঢাকার সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. ইউসুফ এম ইসলাম ও মাহাদুল ফিকরি ওয়াদ দিরাসাতিল ইসলামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শায়খ মুসা আল হাফিজ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকাস্থ এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও মানবাধিকার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আজিজুন নাহার মুনমুন।

Link copied!