গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর অ্যাডভোকেট মাঈনুদ্দিন মিয়াজী।
মুক্তিযুদ্ধের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইতিহাস তুলে ধরে মাঈনুদ্দিন মিয়াজি বলেন, “বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার বাস্তবের রূপ দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার পরে তিনি বঙ্গবন্ধু হয়েছেন, তার আগে ছিলেন মুজিব ভাই। কারণ তিনি সবসময় বলতেন আমি তোমাদের মুজিব ভাই, তোমাদের নেতা।”
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতের ঘটনা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে অ্যারেস্ট হয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যান। আমি সংগ্রাম কমিটি গঠন করি এবং ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে অ্যারেস্ট হই। কাগজে কলমের রূপকার শেরে বাংলা ফজলুল হক এবং বাস্তবের রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।”
এর আগে বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। ঢাকার অদূরে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিজয় দিবস উদযাপন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর বিক্রম মেজর জেনারেল হেলাল মোরশেদ খান।
হেলাল মোরশেদ খান বলেন, “আমরা যখন ভারতে অবস্থান করি তখন এই বাংলার গ্রামের তরুণরা আমাদের কাছে জড়ো হতে থাকে। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি, কৌশল শিখিয়েছি, অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়েছি। তারপর তরুণদের দেশে পাঠাতে থাকি এবং পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করতে পরিকল্পনার ছক আঁকি। এমন অবস্থান তৈরি করতে বলা হয়, যাতে তারা পিছু হটতে বাধ্য থাকে।”
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডিসটিংগুইস প্রফেসর ড. গোলাম সামদানি ফকির, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর কে এম ওয়াজেদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সিরাজুম মনিরা প্রমুখ।