বাজেটে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২৪, ০৩:৪৪ পিএম
বাজেটে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর
বাংলাদেশ সরকারের লোগো। ফাইল ফটো

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য সুখবর রয়েছে। এখন থেকে মাসের প্রথম দিন ইএফটির মাধ্যমে ব্যাংক হিসাবে বেতন পাবেন তারা।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করার সময় এ তথ্য জানান।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, “এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতার অর্থ ইএফটি-তে প্রদানের কাজ চলমান রয়েছে। ফলে শিক্ষক ও কর্মচারীরা প্রথম কর্মদিবসে ঘরে বসে ব্যাংক হিসাবে সরাসরি ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা পাবেন এবং তাদের ভোগান্তি কমবে।”

অর্থমন্ত্রী বলেন, “এমপিওভুক্ত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ অনুদানের অর্থ ইএফটিতে প্রদানের কাজ চলমান রয়েছে। এতে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের ভোগান্তি অনেকাংশে কমবে বলে আশা করা যায়।”

এদিকে আগামী অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ছে না। এখনকার মতো বার্ষিক করমুক্ত সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকাই থাকছে। তবে করহার পুনর্বিন্যাস হচ্ছে। এখন ৫, ১০, ১৫, ২০ ও ২৫ শতাংশ করহারের সঙ্গে ৩০ শতাংশের আরেকটি স্তর আসছে। বছরে আয় সাড়ে ৩৮ লাখ টাকার বেশি হলে করদাতাকে বাকি অর্থের ওপর ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।

এছাড়াও এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে ১১টি ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। অগ্রাধিকার দেওয়া খাতগুলো হলো-

১. অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা।
২. বিজ্ঞান শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও উদ্ভাবন সহায়ক শিক্ষা পরিবেশ নিশ্চিতকরণ।
৩. কৃষি খাতে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ। 
৪. মৌলিক স্বাস্থ্য সেবা উন্নত ও সম্প্রসারিতকরণ।
৫. তরুণদের প্রশিক্ষণ ও আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ।
৬. সম্ভাব্য সব সেবা ডিজিটালাইজ করাসহ সর্বস্তরে প্রযুক্তির ব্যবহার।
৭. ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন, সামুদ্রিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার ও আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ।
৮. ২০৩১ সালের মধ্যে অতি দারিদ্র্য নির্মূলকরণ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ সাধারণ দারিদ্র্যের হার তিন শতাংশে নামিয়ে আনা।
৯. শিল্প স্থাপন ও বিনিয়োগে সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিতকরণ।
১০. জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় পদক্ষেপ গ্রহণ।
১১. জনকল্যাণমুখী, জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসন গড়ে তোলা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রাখা।

Link copied!