বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক ছেলেমেয়ে বিদেশে পড়াশোনা করছে। আমেরিকা, ইউরোপ, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে প্রতিবছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছেলেমেয়ে পড়ছে ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজে। শুধু তাই নয়, নিজের খরচে তারা মালয়েশিয়া ও চীনেও পড়তে যাচ্ছে।
তবে সম্প্রতি ডলার-সংকটের কারণে বিদেশে টিউশন ফি বাবদ ডলার পরিশোধে অনীহা দেখায় অনেক ব্যাংক। সেজন্য চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। তবে এখন থেকে ভোগান্তি কমে আসবে বিদেশে টিউশন ফি পাঠাতে। কেননা, এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে সেই সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
এখন থেকে ডলারে টিউশন ফি পরিশোধে উৎসে কর আর কাটা হবে না। ফলে টিউশন ফির অর্থ পাঠাতে ভোগান্তি কমে আসবে বলে মনে করছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর কর্মকর্তারা। তবে শুধু টিউশন ফি-ই নয় আরও পাঁচ ধরনের কাজে বিদেশে অর্থ পাঠাতে উৎসে কর কেটে রাখার বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে।
অন্য পাঁচটি খাত হলো—বিদেশের কোনো কর্তৃপক্ষকে অর্থ পরিশোধ, পেশাজীবী সংগঠনের চাঁদা পরিশোধ, বিদেশে অবস্থিত কোনো প্রতিষ্ঠানের লিয়াজোঁ অফিস, বিদেশে পণ্য উন্নয়ন ও বাজারজাতকরণ ও নিরাপত্তা জামানত।
আমাদের অনেকের ছেলে বা মেয়ে বিদেশ পড়ে। প্রতি সেমিস্টারে শত শত ডলার টিউশন ফি পাঠাতে হয়। সাধারণত বিদেশে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অর্থ পরিশোধের সময় ৩০ শতাংশ উৎসে কর কেটে রাখা হয়। এটি বাংলাদেশ থেকে রেমিট্যান্স হিসেবে বিদেশে যায়।
তবে এখন থেকে এমন রেমিট্যান্স বা টিউশন ফির ওপর কোনো উৎসে কর বসবে না। সাধারণত ব্যাংকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের টিউশন ফি পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সেই অর্থ পাঠানোর সময় উৎসে কর আর কাটবে না।