পরিত্যক্ত ফুল কুড়িয়ে সেগুলো মালা বানিয়ে বিক্রি করে তাদের জীবন চলে। রাজপথে এই ফুলকুমারী শিশুদের ফুলের মহড়ায় দেখা গেলেও মূলত তারা যুদ্ধ ঘোষণা করছেন সমাজের বিরুদ্ধে। যে বয়সে তাদের স্কুলের মাঠে ভোঁ ভোঁ করে দৌড়ানোর কথা। গোল্লাছোট, কুতকুত, ছোঁয়াছুঁয়ি খেলে প্রশান্তি উদযাপনের কথা। সেই বয়সে তাদের বেছে নিতে হচ্ছে জীবিকার রাস্তা।
সরস্বতী পূজাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৫টিরও অধিক পূজা মণ্ডপের আয়োজন করা হয়। পূজার সরঞ্জাম হিসেবে ফুল অন্যতম। তাই সব মণ্ডপে বহুজাতিক ফুলের ডালা ও মালা সাজানো হয়েছে। যা পূজার মণ্ডপকে সৌন্দর্য বর্ধিত করে।
পূজা আরাধনা করা শেষে সুন্দর ফুল এবং সুন্দর সাজানো দেখে অনেকেই অনেকে স্থিরচিত্র ও ফোনে ভিডিও ধারণ করছেন। পূজার সকল কার্যক্রম শেষ করে যখন সবাই চলে গেছেন। সে সময় চোখে পড়ে কিছু ফুল কুমারীদের। যারা পরিত্যক্ত ফেলে দেওয়া নষ্ট ফুল কুড়িয়ে মালা বানিয়ে বিক্রি করেন। এই পরিত্যক্ত ও নষ্ট ফুলের মালা বিক্রি করে চলে যাদের সংসার।
তাদের মধ্যে ছিল একজন সিনথিয়া। যে পূজামণ্ডপের পরিত্যক্ত ফুল বিক্রি করে টাকা উপার্জন করবে বলে পূজার রেখে যাওয়া ফুলগুলো কুড়িয়ে নিচ্ছে।
সিনথিয়ার কাছে জানতে চাইলে সে বলে, “এখান থেকে বিক্রি করা ফুলের টাকা আমি আমার মার কাছে দেবো। এ টাকা দিয়ে খাবারের খরচ চলবে।”
সিনথিয়া আরও বলে, “আজকে ভালবাসা দিবস, ফুলের একটু টান অনেক ভাইয়ারা আছে। আমাদের কাছ থেকে ফুলের মালা কিনে আপুদের দেন। তাই এখান থেকে আমি ফুল কেড়ে নিচ্ছি। ফুল কিনে বিক্রি করার মতো সামর্থ্য আমাদের নেই।”