বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগমনকারীদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে পয়লা বৈশাখকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) ও কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উৎসবমুখর পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নববর্ষ উদ্যাপনের সার্বিক প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন সদস্যরা।
বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে ‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’ প্রতিপাদ্যে এ বছর মঙ্গল শোভাযাত্রা চারুকলা অনুষদ থেকে সকাল ৯টায় বের করা হবে। মঙ্গল শোভাযাত্রা শাহবাগ মোড় হয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে।
প্রথমত, পয়লা বৈশাখে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো ও বিক্রি করা থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এদিন ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মুখোশ পরা এবং ব্যাগ বহন করা যাবে না। তবে চারুকলা অনুষদের তৈরি মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করা যাবে।
ক্যাম্পাসে নববর্ষের দিন সব ধরনের অনুষ্ঠান বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। ক্যাম্পাসে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে। এরপর কোনোভাবেই প্রবেশ করা যাবে না, শুধু বের হওয়া যাবে।
নববর্ষের আগের দিন ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার পর ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের যানবাহন চালানো যাবে না এবং মোটরসাইকেল চালানো সম্পূর্ণ নিষেধ।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসবাসরত কোনো ব্যক্তি নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাতায়াতের জন্য শুধু নীলক্ষেত মোড় সংলগ্ন গেট ও পলাশী মোড় সংলগ্ন গেট ব্যবহার করতে পারবেন।
সভায় নববর্ষের দিন নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে স্থাপন করে তা মনিটরিং করার জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।