চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) একটি পাহাড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কিছু ঔষধি গাছ পুড়ে গেলেও মানুষের কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ইনস্টিটিউটের পেছনের পাহাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডিকে আগুন নেভাতে দেখা যায়। এ বিষয়ে চবির সহকারী প্রক্টর সৌরভ সাহা জয়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আগুন লাগার পেছনে আমরা প্রাথমিকভাবে তিনটি কারণ অনুমান করতে পেরেছি। সেগুলো হলো, বসন্তকাল চলায় প্রচুর বাতাস হচ্ছে, অনেকেই আবর্জনা পোড়ানোর জন্য বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে সেখান থেকে পাতা বা অন্য কিছু উড়ে এসে আগুন লাগতে পারে। আবার চট্টগ্রামের স্থানীয়রা পাহাড়িরা বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষ করে। তারাও পাহাড় পরিষ্কার করার জন্য আগুন লাগাতে পারে। এছাড়া একটি বিশেষ মহল ভর্তি পরীক্ষাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং আমাদের মনোযোগকে অন্যদিকে নেওয়ার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে পাহাড়ে আগুন লাগাতে পারে।”
প্রশাসনের ভূমিকা সম্পর্ক জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছাই এবং হাটহাজারীর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের তৎপরতা এবং নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় আগুন নেভাতে সক্ষম হই।”
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। প্রক্টরিয়াল বডি নিজেরাই জানার চেষ্টা করছে, পরবর্তী সময়ে গণমাধ্যমকর্মীদের জানানো হবে।”