ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে সালাম দেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন এবং অভিযুক্ত চারজনকে ছাত্রলীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে শেখ ইনান এবং দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের উপস্থিতিতেই এ ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষই শেখ ইনানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এদিকে সন্ধ্যায় এই মারধরের সঙ্গে জড়িতদের বহিষ্কার করা হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এর অনুমোদন দিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থি কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে বিজয় একাত্তর হলের ছাত্রলীগ কর্মী মাশফিউর রহমান, ফিরোজ আলম অপি, আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও নিঝুম ইফতারকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন পর শেখ ইনান মধুর ক্যান্টিনে এলে তাকে সালাম দেওয়া নিয়ে সূর্যসেন হল ও বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে একাত্তর হলের নেতাকর্মীরা সেখান থেকে বের হয়ে স্টাম্প, হকিস্টিক নিয়ে প্রস্তুত থাকে। মধুর ক্যান্টিন থেকে বের হলেই একাত্তর হল ছাত্রলীগের ছাত্রবৃত্তি উপসম্পাদক আবদুল্লাহ আল মারুফ, প্রশিক্ষণবিষয়ক উপসম্পাদক ফিরোজ আলম অপি, কর্মসূচি ও পরিকল্পনাবিষয়ক উপসম্পাদক মাশফিউর রহমান, কর্মী ফজলে নাভিদ অনন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিঝুম ইফতেখারসহ বেশ কয়েকজন হামলায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। পরে কেন্দ্রীয় কয়েকজন সিনিয়র নেতার হস্তক্ষেপে মারামারি বন্ধ হয়।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের উপদফতর সম্পাদক কামরুল হাসান। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও আহত হন তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও হল ছাত্রলীগের কর্মী সাইদুর রহমান শান্ত এবং তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের এক কর্মী।