উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর রাজশাহী শহরে নিজ বাসভবনে ৮২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন এ কথাসাহিত্যিক৷
অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক ১৯৩৯ সালে ভারতের বর্ধমান জেলার যব গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৮ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে দর্শনে স্নাতক এবং ১৯৬০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন এবং ২০০৪ সালে ৩১ বছর অধ্যাপনার পর অবসরগ্রহণ করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পূর্বে ১৯৬০ সাল থেকে তিনি কয়েকটি কলেজে শিক্ষকতা করতেন। পরে ২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের `বঙ্গবন্ধু চেয়ার` হিসেবে যোগদান করেন।
অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি অসংখ্য গল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধ লিখে গেছেন। তাঁর রচিত জনপ্রিয় গল্পগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে `সমুদ্রের স্বপ্ন শীতের অরণ্য`, `আত্মজা ও একটি করবী গাছ`, `জীবন ঘষে আগুন`, `নামহীন গোত্রহীন`, `পাতালে হাসপাতালে`, `আমরা অপেক্ষা করছি`, `রোদে যাবো`, `রাঢ়বঙ্গের গল্প` ইত্যাদি। আগুনপাখি ও শামুক যথাক্রমে তাঁর রচিত প্রথম ও শেষ উপন্যাস। তাঁর লেখা গল্পসমূহ হিন্দি, উর্দু, রাশিয়ান ও জাপানিজ ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক, স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের উদ্যোগে প্রখ্যাত এই কথাসাহিত্যিকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে একটি স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনে এই স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে হাসান আজিজুল হকের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানাবেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।