• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সজলের সঙ্গে শাবির সাংস্কৃতিক জোটের সংহতি প্রকাশ


শাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২, ০৯:০০ পিএম
সজলের সঙ্গে শাবির সাংস্কৃতিক জোটের সংহতি প্রকাশ

গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে অজ্ঞাতনামা সকল মামলা প্রত্যাহার, শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাস দ্রুত বাস্তবায়ন ও ক্যাফেটেরিয়া ফিরিয়ে দেওয়াসহ তিন দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সজল কুন্ডু।

প্রতিদিনের ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টা থেকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অবস্থান নেন তিনি। অবস্থান কর্মসূচির এক পর্যায়ে একাকি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তিনি। বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ করেন সজল।

এদিকে সজলের তিন দফা দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। মঙ্গলবার বিকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সংহতি জানান জোটের নেতৃবৃন্দ।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৬ জানুয়ারি শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে পুলিশি হামলায় নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সজল কুন্ডুসহ অনেক শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী আহত হন। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হওয়া নৃশংস হামলার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন। এই আন্দোলনের জের ধরে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের নামে অজ্ঞাতনামা মামলা করে পুলিশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আন্দোলনের এক পর্যায়ে সরকারের উচ্চ মহল থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাসের পর আন্দোলন স্থগিত করে ক্লাসে ফিরে যান শিক্ষার্থীরা। তবে সেই আশ্বাসের পর প্রায় ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়নি।

জোটের নেতৃবৃন্দ আরও জানান, মামলা প্রত্যাহার তো করা হয় নি বরং আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার দায়ে হামলায় আহত সজল কুন্ডুকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করা হচ্ছে। আইআইসিটি ক্যাফেটেরিয়া তার থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক এই শিক্ষার্থী তার সকল পূঁজি এই ক্যাফেটেরিয়ায় বিনিয়োগ করেন এবং সফলভাবেই পরিচালনা করে আসছিলেন।

তারা আরও জানান, রমজানের ছুটির পর ক্যাম্পাস খোলার পরে ক্যাফেটেরিয়ার বিষয়ে সজল কুন্ডকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা শুরু হয় এবং একপর্যায়ে বিনা নোটিশে তার কাছ থেকে ক্যাফেটেরিয়ার চাবি নিয়ে নেওয়া হয়। রোজার ঈদের পর চাবি চাওয়ার পর থেকে গত চার মাসে তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হলেও ক্যাফেটেরিয়া আর ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। নানাভাবে তাকে কর্মসংস্থান ছেড়ে দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষামন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি মোতাবেক অতি দ্রুত শাবিপ্রবির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা অজ্ঞাতনামা সকল মামলা প্রত্যাহার, হামলায় গুরুতর আহত সজল কুন্ডর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি, তার থেকে কেড়ে নেওয়া কর্মসংস্থান, তার ক্যাফেটেরিয়া অতি দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান জোটের নেতৃবৃন্দ।

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!