• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নাটক সমাজ পরিবর্তনের বড় হাতিয়ার : জবি উপাচার্য


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২৪, ০২:০১ পিএম
নাটক সমাজ পরিবর্তনের বড় হাতিয়ার : জবি উপাচার্য
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। ছবি : প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেছেন, “সমাজ পরিবর্তনের একটা বড় হাতিয়ার হলো নাটক। নানান রকমের চরিত্র নানানভাবে মানুষকে আন্দোলিত করে থাকে। সংস্কৃতি চর্চায় আমাদের নারীরা দেশবিভাজনের সময় থেকেই অগ্রগামী ছিল সেটা কি হিন্দু, কি মুসলমান! পূর্বে সংস্কৃতি চর্চার মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল পুরান ঢাকা, যা এখন বিলুপ্তপ্রায়। তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পুরান ঢাকার সবাইকে সম্পৃক্ত করে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য মূল ভূমিকা রাখতে পারে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ‘কী ধ্বনি বাজে, গহনচেতনা মাঝে’ স্লোগানকে সামনে রেখে রোববার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দ্বিতীয় নাট্যোৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।  

ড. সাদেকা হালিম বলেন, “বিভিন্ন পথনাটকের মধ্য দিয়ে সমাজে জনসচেতনতা তৈরি করা যেতে পারে। প্রগতিশীল সমাজ, ধর্মান্ধতা নয়, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, কল্যাণমুখী রাষ্ট্র, গণতান্ত্রিকতার চর্চা, মুক্তবুদ্ধির চর্চা, বাক স্বাধীনতা এইগুলোর জন্য নাট্যকলার গুরুত্ব অপরিসীম।”

এসময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য নাট্যজন আসাদুজ্জামান নূর।

নাট্যভাষণে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, “বিভিন্ন বিষয়ে তত্ত্ব, ইতিহাস পড়ানো হয়ে থাকে কিন্তু নাট্যকলায় অভিনয়শিল্পীকে মূলত শিখতে হয় কিভাবে দর্শকের সঙ্গে যোগাযোগ সৃষ্টি করতে পারি আর অভিনয়টা দর্শকরা কতটা হৃদয়ে ধারণ করেছে তার মধ্য দিয়ে। আমি মূলত নানা মানুষের নানান বিচিত্র জিনিস দেখে শিখি, তবে বর্তমানে যারা একাডেমিকভাবে শিক্ষা গ্রহণ করছে তারা ভাগ্যবান, দুটোই শিখছে। যেমনিভাবে পাঠ্যপুস্তকের বাইরে অনেক বই পড়লে জ্ঞানী হওয়া যায়, তেমনিভাবে এই শিক্ষার্থীরা মানুষকে যত বেশি দেখবে, জানবে তত বেশি শিখবে।

তিনি আরও বলেন, “খেয়াল রাখতে হবে আমাদের নাটকগুলো যেন সবসময় বঞ্চিত, নির্যাতিত মানুষের পক্ষে হয় এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, বাঙালির যে গৌরবোজ্জল সম্মান জাতির পিতার নেতৃত্বে যে স্বাধীনতা এগুলো যাতে ধারণ করতে পারি।”

এছাড়া নাট্যকলা বিভাগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান ক্যাথরিন পিউরীফিকেশনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী এবং কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, তিন দিনব্যাপী (২৮ থেকে ৩০ জানুয়ারি) নাট্যোৎসবে প্রতিদিন ২টি করে (দুপুর ১২টা ও সন্ধ্যা ৬টা) নাটক প্রদর্শনী হবে।

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!