দেশব্যাপী সংগঠিত সন্ত্রাস নৈরাজ্য ও সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে ২৮ অক্টোবরের বিএনপির যে কর্মসূচি তা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করেন বক্তারা।
ঢাবি উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, “দেশের বর্তমান সহিংসতা দেখলে আমাদের ২০১৩, ২০১৪ সালের কথা মনে পড়ে। আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। তবে ২০১৩-১৪ সালে সহিংসতা ও নৈরাজ্য না হলে দেশ আরও আগেই বর্তমান পর্যায়ে উন্নীত হতো।”
ঢাবি উপউপাচার্য (শিক্ষা) ড. এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, “যারা জাতীয় নির্বাচন ঠেকাতে চায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ নয়, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনকে ব্যাহত করে অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতায় আসতে চায়। কিন্তু তাদের উপলব্ধি করতে হবে যে, অগণতান্ত্রিকভাবে বিদেশি প্রভুর মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে তারা লাভবান হতে পারবে না। যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল। তারা বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতেছে। ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। তাদের উচিত ষড়যন্ত্র ত্যাগ করে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা।”
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার, গণিত বিভাগের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ সামাদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর গোলাম রাব্বানী, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হারুন-অর রশিদ, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম খান, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাবের আহমেদ প্রমুখ।