সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি কিশোরীকে গুলি করে খুনের দায়ে ভারতকে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। তারা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত সীমান্তে ২৪৫ জন বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানান।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘দিল্লি না ঢাকা- ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন- ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘যদি চাও মুক্তি- ছাড়ো ভারত ভক্তি’, ‘ভারতীয় দাদাগিরি- মানি না মানবো না’ সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।
সমাবেশে আব্দুল্লাহ আল নোমান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, “নেপালে বিএসএফ কর্তৃক একজনকে হত্যার প্রতিবাদে পুরো নেপাল জেগেছিল। তাদের সেই প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে ইন্ডিয়াকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইন্ডিয়া গভর্নমেন্ট প্রকাশ্যে ক্ষমা চায় এবং তারপর থেকে আজ পর্যন্ত নেপালের বর্ডারে বিএসএফের গুলি যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।”
নোমান বলেন, “আজকের স্বর্ণা দাস নামক আমার যেই সনাতনী বোনটিকে ভারতীয় সীমান্তে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এটা পুরো পৃথিবীর মানবতার জন্য একটি নিকৃষ্টতম ঘটনা। কোন দেশের সীমান্তে গুলি করে হত্যা- বিশ্বের কোনো আইন বৈধতা দেয় না। অতএব আজকে এখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই, যদি ইন্ডিয়া গভর্ননমেন্ট এর জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা না চায় তাহলে আমাদের দেশের এই নতুন সরকার ও পৃথিবী তার উপর্যুক্ত প্রতিবাদ করতে সক্ষম রয়েছে।”
আবিদ হাসান রাফি নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা আর কোনো ভাই-বোনকে ভারতের বিএসএফের গুলিতে রক্ত ঝরাতে দেখতে চাই না। আমাদের ফেলানীর কথা মনে আছে। আমরা আর কোনো রক্তপাত চাই না। আমরা ভারতীয় সরকারকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করব।”
এর আগে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় স্বর্ণা দাস নামের ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে গুলি করে হত্যা করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।