• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
নোবিপ্রবি

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্য, সহ–উপাচার্যসহ কর্মকর্তাদের পদত্যাগ দাবি


নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২৪, ১২:৫৭ পিএম
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্য, সহ–উপাচার্যসহ কর্মকর্তাদের পদত্যাগ দাবি

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ–উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কর্মকর্তা এবং আবাসিক হলগুলোর প্রভোস্টদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগের দাবি করা হয়েছে। বুধবার (৮ আগস্ট)  বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়কদের এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই দাবি করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে উপাচার্য, সহ–উপাচার্যসহ উল্লেখিত কর্মকর্তাদের পদত্যাগ ছাড়াও আরও কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে।

দাবিগুলো হলো ১. এই ক্যাম্পাসে সব ধরনের সন্ত্রাস ও লেজুড়বৃত্তির ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। ২.  উপাচার্য, সহ–উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক, আইকিউএসসির পরিচালক, এবং অতিরিক্ত পরিচালকসহ সব প্রভোস্টকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে। ৩. যেসব শিক্ষার্থী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়েছে কিংবা আন্দোলনের বিরুদ্ধে সমর্থন দিয়েছে তাদের আবাসিক হলের আসন আজীবনের জন্য বাতিল করতে হবে। ৪. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরামর্শের ভিত্তিতে হলের নাম পরিবর্তন করতে হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অন্যতম সমন্বয়ক জাহিদুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এসব ব্যক্তি শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ায়নি। নিহত শিক্ষার্থীদের বিষয়েও তাদের কোনো সহানুভূতি ছিল না; তা ছাড়া উল্লিখিত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্থ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তারা ওই দাবি জানিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের এসব দাবির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে উপাচার্য মো. দিদার-উল-আলম জানান, ছাত্রদের দাবির বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। তাকে এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে বলা হয়েছে, তারা যখন যে সিদ্ধান্ত দেন সেটি অনুসরণ করার জন্য। তা ছাড়া সরকার যখন যে সিদ্ধান্ত দেবে সেটি তিনি মেনে চলবেন।

Link copied!