জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছাত্র ইউনিয়নের দুই নেতাকে বহিষ্কারের আদেশ বাতিলের দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন বাম ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে মশাল মিছিল বের করা হয়।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবন ও পরিবহন চত্বর ঘুরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। পরে সেখানে ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা।
সমাবেশে তারা সংগঠনটির সভাপতি অমর্ত্য রায় ও সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলীর বহিষ্কারাদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাদী হয়ে মামলা করার দুরভিসন্ধি বাতিলের দাবি জানান।
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তাপসী দে প্রাপ্তি বলেন, বঙ্গবন্ধুর চেতনা কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পুঁজি নয়। বঙ্গবন্ধু সবার। গ্রাফিতি থাকলে সেখানে মুছে আরেকটি করা হবে– এটাই নিয়ম এবং এটাই বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে আসছে।
উপাচার্যের বাসভবনের সামনে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করার পর আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোস্তাফা ফিরোজ ও প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান। কিন্তু আন্দোলনকারীরা উপাচার্য ছাড়া বাকিদের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের বাসভবনে গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলে।
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, বহিষ্কার ও মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট। সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার এখতিয়ার আমার নেই। তোমাদের দাবিগুলো প্রশাসনিক বডির সঙ্গে আলোচনা করে দেখব।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবনের দেয়াল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়ালচিত্র মুছে ফেলে ব্যঙ্গাত্মক গ্রাফিতি অঙ্কনের ঘটনায় অমর্ত্য রায় ও ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। অমর্ত্য ও ঋদ্ধ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।