সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ৬০ শতাংশ নারী কোটা বাতিল হচ্ছে। এর সঙ্গে পোষ্য কোটাও বাতিল করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রস্তাবিত ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’-এর খসড়া থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ৬০ শতাংশ নারী কোটার প্রচলন রয়েছে। বাকি ৪০ শতাংশের মধ্যে ২০ শতাংশ পোষ্য এবং পুরুষ কোটা ২০ শতাংশ। কোটানির্ভর নিয়োগপ্রক্রিয়ায় মেধার মূল্যায়ন হয় না বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অনেকে ৬৫ নম্বর পেয়েও চাকরি পেয়ে যান, আবার অনেকে ৭৫ পেয়েও বাদ পড়েন। এ বৈষম্য দূর করতে নতুন বিধিমালা তৈরি করছে সরকার।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, উচ্চ আদালতের রায় মেনে কোটা থাকবে মাত্র ৭ শতাংশ। বাকি ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। যে ৭ শতাংশ কোটা থাকবে, তার মধ্যে থাকবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধী কোটা।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে আগের কোটা ব্যবস্থা থাকছে না। উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী কোটাব্যবস্থা চালু থাকবে। এ ছাড়া সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে থেকে প্রধান শিক্ষক পদে যোগ্য প্রার্থী পাওয়া সাপেক্ষে শতভাগ পদোন্নতির ব্যবস্থা করার প্রস্তাব করা হয়েছে নতুন নিয়োগবিধিতে।