শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নে আবারও পরিবর্তন আসছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড জানিয়েছে, সামষ্টিক মূল্যায়নে এবার যুক্ত হচ্ছে লিখিত পরীক্ষা। একটি নির্দিষ্ট দিনে পরীক্ষায় বসবে শিক্ষার্থীরা। তবে এটি প্রচলিত পরীক্ষার মতো হবে। আর দশম শ্রেণিতে গিয়ে বোর্ড পরীক্ষা হবে, যা নিজ প্রতিষ্ঠানে নয়, হবে অন্য প্রতিষ্ঠানে। তবে এটি বাস্তবায়নের আগে জরিপ করার কথা বলছেন শিক্ষাবিদরা।
গেল বছর ষষ্ঠ আর সপ্তম শ্রেণি দিয়ে নতুন কারিকুলাম শুরুর পর থেকেই মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা চলছে। অভিভাবকরা চাইছিলেন প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতি যেন বহাল থাকে।
সেসব বিষয়ে আমলে নিয়ে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে খানিকটা পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে দেয়া সেই প্রস্তবনায় কী আছে? এই প্রশ্নে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, বছরব্যাপী মূল্যায়ন চলবে। আর থাকবে সামষ্টিক মূল্যায়ন। এই মূল্যায়ন সাত দিনের পরিবর্তে একদিনে হবে। যেখানে সবগুলো ধাপের পর থাকবে লিখিত পরীক্ষা।
তিনি বলেন, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বছরব্যাপী মূল্যায়নে ও সামষ্টিক দুই অংশেই থাকবে ৫০ শতাংশ করে। সেক্ষেত্রে দশম শ্রেণির পরীক্ষা হবে পাবলিক পরীক্ষা এবং শিক্ষার্থীরা ভিন্ন কেন্দ্রে এই পরীক্ষা দেবেন।
তিনি বলেন, ৫০ শতাংশ মূল্যায়ন শিক্ষার্থী কেন্দ্রেই পাবে। বাকি ৫০ শতাংশের মধ্যে পরীক্ষার খাতা বোর্ডে যাবে, সেখান থেকে মূল্যায়ন হবে।
এ বিষয়ে কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ড. হাফিজুর রহমান এর সঙ্গে। তিনি বলেন, নতুন পদ্ধতি বাস্তবায়নের আগে এর কার্যকারিত যাচাই করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে প্রয়োজন নজরদারির।
তিনি বলেন, এটা করতে গিয়ে আমরা বারবারই হিমশিম খাচ্ছি, এটা ভালো না। এর জন্য আমাদের ভালো একটা প্রস্তুতির দরকার ছিল। যা আমরা নিতে পেরেছি বলে মনে হয় না।
২০২১ সালে কারিকুলামের রূপরেখার অনুমোদন হয়। ২০২৩ সাল থেকে শুরু হয় এটির বাস্তবায়ন। পুরো বাস্তবায়নে সময় লাগবে ২০২৭ সাল পর্যন্ত।