কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন শিক্ষক সমিতিকে আলোচনায় ডাকলেও তাতে সাড়া দেয়নি শিক্ষক সমিতি। রোববার (২৬ মে) সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান স্বাক্ষরে রেজিস্ট্রার বরাবর দেওয়া এক চিঠি থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
উপাচার্যের পদত্যাগই একমাত্র সমাধান দাবি করে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবক হিসেবে মাননীয় উপাচার্যের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশের সুরক্ষা বিধান এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকলের মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু তিনি ক্যাম্পাসের সার্বিক একাডেমিক ও প্রশাসনিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিধানে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। এক্ষেত্রে মাননীয় উপাচার্যের পদত্যাগই একমাত্র সমাধান বলে শিক্ষক সমিতি মনে করে। নিরাপদ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সার্বিক একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনায় সকল শিক্ষক সচেতনভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ।”
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “বিভিন্ন সময়ে মাননীয় উপাচার্যের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক হেনস্থা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, শিক্ষকদের ওপর বর্বরোচিত হামলা এবং মর্যাদাহানির সুষ্ঠু বিচার এবং শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া পূরণ না হওয়া পর্যন্ত উপাচার্যের সাথে কোনো ধরনের প্রহসনমূলক গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়নে শিক্ষক সমিতি বাহন হিসেবে কোনো ভূমিকা পালন করবে না। সুতরাং উল্লিখিত সূত্রদ্বয়ের আলোকে প্রেরিত পত্রের বিষয়ে অপারগতা পোষণ করছি।”
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন বলেন, “আমরা আজকে আলোচনায় উদ্দেশ্যে এসেছিলাম। কিন্তু তারা আসেনি। আমরা এখনো অপেক্ষা করছি। তারা আসলে আলোচনা হবে।”
গত ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আলাদা চিঠির মাধ্যমে প্রশাসনের সাথে বসার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।