• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ


বেরোবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ
আলফি শাহরিয়ার মাহিম। ফাইল ফটো

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় রংপুরের পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আলফি শাহরিয়ার মাহিমকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ করেছে তার পরিবার।

বুধবার (৩১ জুলাই) তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন মাহিমের বোন সানজানা আক্তার স্নেহা।

এ বিষয়ে সানজানা আক্তার স্নেহা তার ফেসবুকে লিখেন, “১৮ জুলাই সে (মাহিম) কলেজের উদ্দেশ্যে বের হলে জানতে পারে পরীক্ষা স্থগিত, তখন বন্ধুদের সঙ্গে মিছিলের মাঝে জড়িয়ে পরে এবং পুলিশের টিয়ারসেলে বন্ধুদের থেকে আলাদা হয়ে যায়। ওইদিনই আমরা আনুমানিক ৪টায় ওর বন্ধুদের থেকে জানতে পারি, তার পায়ে রাবার বুলেট লেগেছে, সেখানের লোকাল লোকজন কোনো হসপিটালে এডমিট করিয়েছে। রাত ১০টা পর্যন্ত সব হসপিটাল ক্লিনিক খুঁজেও যখন পাচ্ছিলাম না। তখন বাবার কাছে একটা কল আসে, তারা জানায়, আপনার ছেলে আমাদের হেফাজতে আছে, জানাজানি করবেন না। তাতে ছেলের ক্ষতি হবে। তাকে আগামীকাল সকালে ছেড়ে দেওয়া হবে, চিন্তার কিছু নেই।”

সানজানা আক্তার স্নেহা লিখেন, “গত ১৯ জুলাই সকালে আমরা খোঁজ নিলে তারা অস্বীকার করে বলে তাদের কাছে এই নামে কেউ নেই। এরপর আনুমানিক বিকেল সাড়ে ৪টায় কোর্ট থেকে কল আসে, তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমরা কোর্ট থেকে নথিপত্র নিয়ে জানলাম, তাকে আবু সাইদ ভাইয়ের হত্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। সেদিন থেকে বার বার কারাগারের দরজা থেকে ফিরে এসেছি। একবার দেখা তো দূর থাক, তার কণ্ঠও শুনতে দেয়নি কেউ। মেট্রো কোর্ট তার মামলা কিছুতেই শিশু কোর্টে দিতে চায়নি। অনেক চেষ্টা করে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) শিশু কোর্টে নেওয়া হলে ডেট দেয় ৪ আগস্ট। ওইদিন কী রায় দেবে আমার জানা নেই। তবে আমি আমার ভাইকে ফিরে চাই,  বেকসুর খালাস দেওয়া হোক এটা চাই। যে ছেলেটা লিগাল ডকুমেন্টস অনুযায়ী শিশু, এমনকি মামলায় প্রদত্ত ঘটনার সময় সরকারি হাসপাতালে এডমিট ছিল,  তাকে তারা কোন হিসেবে এভাবে হ্যারাস করাচ্ছে? সব থেকে বড় কথা তার গায়ে কলেজ ড্রেস ছিল, আইডি ছিল, সে পুলিশদের ইনস্টিটিউট এরই ছাত্র।  এক্ষেত্রে কি তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, সহপাঠী, আইনজীবী কারও কিছুই করার নাই? আমার ভাইকে কোন লজিকে তারা আটকে রেখেছে, দেখাও করতে দিচ্ছে না।”

এ প্রসঙ্গে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “এই সাঈদের হত্যা মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয় নাই। আর এই নামে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয় নাই।”

যোগাযোগের ১ ঘণ্টা পর পুলিশ কমিশনার আবার কল দিয়ে বলেন, “১৮ জুলাই তাজহাট থানায় আক্রমণ করা হয়। তখন ইটপাটকেল হাতে একজনকে আটক করা হয়। তখন ভয়ে বলে নাই যে আমি শিক্ষার্থী। এই বিষয়টা আমরা সহানুভূতি সঙ্গে দেখব।”

আলফি শাহরিয়ার মাহিম রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার কলেজ আইডি-১৭৬৬০, বয়স ১৬ বছর ১০ মাস।

Link copied!