গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অন্যতম সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সরকারের প্রশ্রয়ে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ, শিক্ষার্থীদের নির্যাতনসহ নানা অপকর্মে অভিযুক্ত এই সংগঠনটি। ছাত্রলীগের এই নির্যাতনের হাত থেকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও রেহাই পায়নি।
ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর, ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীকে আত্মগোপনে যেতে দেখা যায়। তাদের বিচারের দাবিতে বাকৃবিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তবে সেই কমিটির বিচার কার্যক্রম বিলম্বিত হওয়ায় এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভের উদ্দেশে কামাল-রঞ্জিত মার্কেটে জড়ো হতে থাকেন। পরে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বাকৃবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান, সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম শফিক, যুগ্ম আহ্বায়ক এ এম শোয়াইব, সদস্য ইসমাইল হোসেন হৃদয়সহ প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী।
মো. আতিকুর রহমান জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলো জ্ঞান ও মানবিকতা অর্জনের জায়গা। কিন্তু ছাত্রলীগ একে নির্যাতনের কেন্দ্রে পরিণত করেছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অত্যাচারের হাত থেকে বাকৃবি শিক্ষার্থীরাও রেহাই পায়নি। তাদের বিচারের দাবিতে যে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল, তার অগ্রগতি এত ধীর কেন? বিচার কার্যক্রম বিলম্বিত করে কি প্রশাসন তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে? এ বিষয়টি স্পষ্ট করতে হবে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ছাত্রলীগের নির্যাতনে নিহত মেধাবী শিক্ষার্থী সাদের খুনিদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।”