কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটিতে পদপ্রত্যাশী এনায়েল উল্লাহ ও তার অনুসারীরা।
রোববার (১৪ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অবস্থিত প্রক্টর অফিসে এনায়েল উল্লাহ ২৫-৩০ জন অনুসারীরকে নিয়ে ক্যাম্পাস গেট থেকে প্রক্টরের পদত্যাগ চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এরপর তারা প্রক্টর অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন।
অভিযুক্ত এনায়েত উল্লাহর অনুসারী রবিন দাশ বলেন, “প্রক্টরের কাজ আমাদেরকে নিরাপত্তা দেওয়া কিন্তু ওইদিন উনার সামনে আমার ভাইয়েরা হামলার স্বীকার হয়েছে। এই জন্য আমরা এই প্রক্টরের অপসারণ চাই। এর আগেও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছিল। এটা আমরা কোটা আন্দোলনের থেকে করছি না ছাত্রলীগের আন্দোলন থেকে করেছি।”
এ বিষয়ে এনায়েত উল্লাহ বলেন, “আজ প্রক্টর অফিসে তিন হলের শিক্ষার্থী মিলে তালা দিয়েছে। এটা কোনো একক হলের নেতৃত্বে দেওয়া হয় নাই। এটা ছাত্রলীগের কোনো অংশ না, এছাড়া কোটা আন্দোলনের সঙ্গেও এটার সম্পৃক্ততা নেই বরং ওই দিনের ঘটনার প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা আজ প্রক্টর অফিসে তালা দিয়েছে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, “কে কারা তালা দিয়েছে আমরা এখনো সঠিক বলতে পারছি না। তবে কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন যারা করছে, তারা যৌক্তিক আন্দোলন করছে। তাদের কেউ এখানে ছিল না।”
উল্লেখ্য, গত ১১ জুলাই বিকেল তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আনসার ক্যাম্পের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এর জবাবে শিক্ষার্থীরাও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরবর্তীতে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস, টিয়ারশেল, ফাঁকা গুলি ছোড়েন। এতে তিন সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। পরে বিকেল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা৷