• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১, ৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবর্তন হলো প্রাথমিকের ‘শপথবাক্য’, যা যা বাদ পড়ল


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৪, ০৮:৫১ এএম
পরিবর্তন হলো প্রাথমিকের ‘শপথবাক্য’, যা যা বাদ পড়ল

দেশের সব সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (পিটিআই) প্রাত্যহিক সমাবেশকালে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর নতুন শপথবাক্য পাঠ করানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। 

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) এক প্রজ্ঞাপনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর নতুন শপথ বাক্য পাঠের নি এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নতুন শপথবাক্য হলো “আমি শপথ করছি যে মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখব। দেশের প্রতি অনুগত থাকব। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকব। হে মহান আল্লাহ/মহান সৃষ্টিকর্তা, আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী ও আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। আমিন।”

এর আগে ২০২২ সালে সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পিটিআইয়ের প্রাত্যহিক সমাবেশকালে নতুন শপথ পাঠের নির্দেশনা দিয়েছিল ছাত্র-জনতার অভ্যুথানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার।

সেই শপথ বাক্য ছিল, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা। আমি দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন।’

ঢাকার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক বলেন, তারা নতুন শপথবাক্য–সংক্রান্ত নির্দেশনা পেয়েছেন। সামান্য কিছু পরিবর্তন করে ২০২২ সালের আগের শপথবাক্যটি ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

Link copied!