চব্বিশের জুলাই বিপ্লবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২ শিক্ষার্থীর আত্মদানকে স্মরণীয় রাখতে নতুন কলা অনুষদ ভবনকে শহীদ ফরহাদ হোসেন এবং বঙ্গবন্ধু হলের নাম পরিবর্তন করে শহীদ হৃদয় তরুয়ার নামে নামকরণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় নতুন কলা অনুষদ ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে শহীদ ফরহাদের নামে ব্যানার এবং এরপর বঙ্গবন্ধু হলের গেটে শহীদ হৃদয় তরুয়ার নামে ব্যানার টাঙান।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আন্দোলন করতে গিয়ে ইতিহাস বিভাগের দুই শিক্ষার্থী তরুয়া ও ফরহাদ শাহাদাতবরণ করেছেন। তাদের স্মৃতি রক্ষার্থে দুইটি স্থাপনায় নামকরণ করা হলো। যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ স্বৈরাচার না হয়ে উঠে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের স্নাতকোত্তর বর্ষের শিক্ষার্থী শাখাওয়াত হোসেন বলেন, “আন্দোলনে শহীদদের প্রশ্নে আমরা সবাই একতাবদ্ধ। যারা আন্দোলনের বিপক্ষে গিয়ে কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া হলে আমরা আবার আন্দোলনে নামব। দেশে বঙ্গবন্ধুর নামে অনেক স্থাপনা ভাস্কর্য আছে। তাই হৃদয় তরুয়ার বঙ্গবন্ধু হলের নামটি হৃদয় তরুয়ার নামে নামকরণ করা হলো।”
আরেক শিক্ষার্থী আহসান হাবিব বলেন, “আমরা ইতিহাস বিভাগের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শহীদের নামে নামকরণ করলাম। আমাদের দাবি এটা যেন প্রশাসন থেকে স্থায়ী করা হয়। সেইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনে শহীদ পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা প্রদান, তাদের পরিবারের যোগ্যদের চাকরির ব্যবস্থা এবং শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ স্তম্ভ নির্মাণ করতে হবে।”
শহীদ তরুয়ার বন্ধু কবির হাসান শুভ বলেন, “আমার বন্ধু শহীদ তরুয়ারকে নিয়েও অপরাজনীতি করা হয়েছে। যারা শহীদদের রক্ত নিয়ে খেলা করেছে, তাদের বিচার এ মাটিতে করতে হবে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চবির অন্যতম সমন্বয়ক ওবায়দুল্লাহ মোহাম্মদ আলী বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে অফিশিয়ালি এই দাবিগুলো প্রশাসনকে জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতিহাস বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজকে ভবনের নামকরণ করে আমাদের কাজে সহযোগিতা ও সহজ করে দিয়েছেন।”