• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে শিক্ষার্থীদের মুক্তি চাইলেন চবি শিক্ষকরা


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৪, ০৪:২৪ পিএম
গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে শিক্ষার্থীদের মুক্তি চাইলেন চবি শিক্ষকরা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ (চবি) দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছেন চবির অর্ধশতাধিক শিক্ষক। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকদের পক্ষে এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান তারা।

বিবৃতিতে শিক্ষকরা বলেন, কোটা সংস্কারের যৌক্তিক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু দিন ধরে দেশে চরম অরাজকতা চলছে। এ সময় শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত আন্দোলনরত শিক্ষার্থীসহ শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত ২০০ জনের অধিক নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে।

শিক্ষকরা বলেন, “বর্তমানে আন্দোলন দমানোর লক্ষ্যে দমনপীড়ণনমূলক হয়রানি, মামলা ও গণগ্রেপ্তার জারি রয়েছে। দমনপীড়নের এই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত তিনজন ছাত্র ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের আল-মাশনূন, নাট্যকলা বিভাগের সায়হাম মাহমুদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউের প্রথম বর্ষের রমজান শেখকে গ্রেপ্তার/আটক বা ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে আমরা বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি। এদের ছাড়াও আরও কিছু শিক্ষার্থীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলেও বিভিন্ন সূত্র থেকে দাবি করা হচ্ছে। এসব ঘটনা অন্ত্যন্ত অযৌক্তিক ও উদ্বেগজনক।”

গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে শিক্ষকরা বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, চলমান আন্দোলনে আমাদের এই ছাত্ররা যদি অংশগ্রহণ করেও থাকেন তা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের অংশ হিসেবেই করেছেন এবং তারা কোনোভাবেই সহিংসতার সঙ্গে জড়িত নন। এ পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক হিসেবে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি, সব রকম পুলিশি হয়রানির নিন্দা জানাচ্ছি এবং তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। পাশাপাশি, আমরা চলমান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আজ পর্যন্ত সংঘটিত সকল হামলা-মামলা, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড, গণগ্রেপ্তার ও হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ যেই হোক না কেন সকল হত্যাকারীকে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানাই। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আটক/গ্রেপ্তার ছাত্ররাসহ দেশের সকল নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।“

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করা শিক্ষকরা হলেন—যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খ. আলী আর রাজী, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোশরেকা অদিতি হক, পদার্থবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী মুহম্মদ রাশেদ-নিজাম, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ শফিউর রহমান চৌধুরী, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ জাহেদ, আইন অনুষদের ইংরেজি প্রভাষক সৈকত দাশ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রভাষক আব্দুল মান্নান।

বায়োকেমিস্ট্রি এবং মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তাপস কুমার ভৌমিক, ফলিত রসায়ন এবং কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. দিদারুল আলম চৌধুরী, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৌরি ঢালী, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন ফারুকী, বায়োকেমিস্ট্রি এবং মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান ও সহযোগী অধ্যাপক ড সুনন্দা বৈদ্য, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সায়মা আলম।

ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাখাওয়াত হুসাইন, ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ হাসমত আলী, বায়োকেমিস্ট্রি এবং মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শ্রাবন্তী সাহা, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান, মানবসম্পদ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আফতাব উদ্দিন, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নঈম হাসান চৌধুরী, বায়োকেমিস্ট্রি এবং মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমন মজুমদার, মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এইচ এম কামরুল হাসান, ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রভাষক সাঈদ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নুসরাত ইয়াছমিন পুষ্প, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শামীম নূর (শিক্ষা ছুটি), মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ইমাম হোসাইন, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ তারিকুল হাসান চৌধুরী।

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. খাদিজা মিতু, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক যাকীয়াহ্ তাসনিম ও সহকারী অধ্যাপক গোলাম হোসেন হাবীব, লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রভাষক মো. মাহবুবুর রহমান, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জান্নাতুল আকলিমা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুনমুন নেছ চৌধুরী, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইকবাল আহমেদ, ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোছাইন, সমাজতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক নাজমা জাহান সরকার, জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. লুলু ওয়াল মরজান, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রওশন আক্তার, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ. জি. এম. নিয়াজ উদ্দিন, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ মহিব।

মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ফুয়াদ হাসান, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফারজানা করিম, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলাউদ্দিন মজুমদার, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সালমা বিনতে শফিক, ওশানোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন, আইন বিভাগের অধ্যাপক আসমা বিনতে হক, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী সম্পাদক ড. তানিম জাবিদ হোসাইন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হারিসুর রহমান হাওলাদার, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন।

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!