‘আঠারোতে জগন্নাথ সাহসী নির্ভীক’ স্লোগানকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) জাতির পিতার ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি, আনন্দ র্যালি, প্রকাশনা উৎসব, চারুকলা প্রদর্শনী, নাটক পরিবেশনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত হয়।
এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় শহিদ মিনার চত্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এসময় বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।
এরপর সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে ব্যান্ডদলে সুসজ্জিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনন্দ র্যালিটি শহিদ মিনার চত্বর হতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রায় সাহেব বাজার মোড় ঘুরে, ভিক্টোরিয়া পার্ক পরিক্রমণ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে শেষ হয়। এসময় ছাত্র-ছাত্রীরা নানা রংবেরঙের টি-শার্ট ও শাড়ি পরে নেচে গেয়ে র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
র্যালি শেষে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে ভাষা শহিদ রফিক ভবনে দিনব্যাপী প্রকাশনা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবনে চারুকলা বিভাগের উদ্যোগে ‘ঐতিহ্য ও পরষ্পরায় আমার প্রিয় ক্যাম্পাস’ শীর্ষক বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।
বেলা সোয়া ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে নাট্যকলা বিভাগের উদ্যোগে ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ নাটক মঞ্চায়িত হয়। পাশাপাশি বাঁধন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের উদ্যোগে ভাষা শহিদ রফিক ভবনের নিচতলায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, “আজকের দিনের শিক্ষার্থীদের এই উচ্ছ্বাস-আনন্দ, অনুভূতিই বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের বড় সম্পদ ও অর্জন।”
কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, “স্মার্ট বাংলাদেশ গড়াই হচ্ছে বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। আর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সম্মুখ সারিতে থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।”
কামালউদ্দীন আহমদ আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় সঠিকভাবে পরিচালনা ও উন্নয়নের জন্য সবার ঐকান্তিক সহযোগিতা প্রয়োজন। সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস দ্রুততার সঙ্গে শেষ করা সম্ভব। এজন্য প্রয়োজনে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করব।”