• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মোমবাতি প্রজ্বলন ও মৌন মিছিল


জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৪, ০৯:০৫ পিএম
সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মোমবাতি প্রজ্বলন ও মৌন মিছিল

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনার বিচারের দাবিতে মোমবাতি প্রজ্বলন ও মৌন মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় নজরুল ভাস্কর্য প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় সাংবাদিকরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষীদের শাস্তির দাবি করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আসলাম বেগ বলেন, “তিন দিন পার হলেও এখনো সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনার বিচার হয়নি। আমরা দ্রুত শাস্তি চাই, না হলে প্রশাসনকে জবাব দিতে হবে।”

সাংবাদিক মুখছিদুল মমিন বলেন, “গত ৫ তারিখে অতর্কিতভাবে সাংবাদিকদের ওপর যে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেখানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও তদন্ত কমিটিকে এখন পর্যন্ত নিরব দেখা যাচ্ছে। ৩/৪ দিন হয়ে গেলেও প্রশাসনকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায়নি। যদি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দাখিলে দেরি হয়, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হয় তাহলে আমরা সাংবাদিকরা কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি নিহার সরকার অংকুর বলেন, প্রশাসনের নিরবতা ও আশ্রয় প্রশ্রয়ই বারবার এসব ঘটতে দিচ্ছে। এর সঠিক বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ৫ তারিখের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং প্রক্টরেরও দায় আছে বলে মনে করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি রাশেদুজ্জামান রনি বলেন, “এ ঘটনার বিচার অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। কোনোরূপ ছলচাতুরী করা হলে সারা বাংলাদেশের সাংবাদিক সংগঠনের সঙ্গে সমন্বয় করে কঠোর আন্দোলন করা হবে।”

গত সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিবীণা হলের একটি কক্ষে সিটদখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও মারামারিতে জড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ। এতে আহত হয় একাধিক শিক্ষার্থী। পরে বিকেল সাড়ে ৫টায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ছাত্রলীগের এক গ্রুপের নেতাকর্মীদের অতর্কিত হামলার শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব। এরপর সমিতির সভাপতি মো. ফাহাদ বিন সাঈদ তাকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও জয়ধ্বনি মঞ্চের সামনে বেধড়ক পেটানো হয়। 

Link copied!