চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেছেন দৈনিক মুজুরিভিত্তিক কর্মচারীরা।
বুধবার (১৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপাচার্য দপ্তরের সামনের প্রধান ফটকে তালা মেরে তাকে অবরুদ্ধ করা হয়।
এসময় উপাচার্যের সঙ্গে ট্রেজারার ড. মোবারক হোসেন ও রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও শিক্ষকরা অবরুদ্ধ হন।
আন্দোলনরত কর্মচারিরা জানান, তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলমান থাকবে।
অমিত মন্ডল নামের এক আন্দোলনকারী বলেন, “বিগত সাত-আট বছর আমরা ১৩৪ জন চুক্তিভিত্তিক চাকরি করে আসছি। বিগত উপাচার্য ও বর্তমান উপাচার্য আমাদের বারবার আশ্বাস দিয়েও কোনো কাজ করেননি।”
অমিত আরও বলেন, “মঙ্গলবার (১৬ মে) একাডেমিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই কাউন্সিলে আমাদের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তাই আমরা আজ (১৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় উপাচার্যের দপ্তরে তালা লাগিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকে উঠবো না।”
এদিকে অবরুদ্ধের ৩ ঘণ্টা পর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী কর্মচারীরা গেট ভেঙে তাদের উদ্ধার করেন। এসময় স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মচারীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দলিলুর রহমান বলেন, “আমরা উপাচার্যের রুমে একটা মিটিংয়ে ছিলাম। এর মধ্যে হঠাৎ হৈচৈয়ের শব্দ শুনে বাইরে এসে দেখি মজুরিভিত্তিতে কাজ করা কর্মচারীদের অধিকাংশই ভেতরে চলে আসেন। তারা কোনো লিখিত দাবি জমা দেওয়া ছাড়া, কোনো নোটিশ ছাড়াই এখানে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে।”