নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ইফতার পার্টিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের অভিনব প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) গণইফতার করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এতে প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এই গণইফতার কর্মসূচি পরিচালিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম বলেন, “ইফতারকে ঘিরে আমাদের যে দেশি সংস্কৃতি রয়েছে। সেটি আমাদের রক্ষা করতে হবে। সেই সঙ্গে আমরা চাই, ইফতারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া না হয়। সেই সচেতনতা ছড়িয়ে দিতেই, আমাদের এই গণইফতার।”
হাসিবুল ইসলাম আরও বলেন, “শিক্ষার্থীরা তাদের টিউশনি এবং হাত খরচের টাকা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিজ উদ্যোগে এই ইফতারের আয়োজন করেছে। এতে সবমিলিয়ে প্রায় ২০০-এর অধিক শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন।”
আরেক শিক্ষার্থী হাসান বলেন, “দেশের দুইটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের ক্যাম্পাসে বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য ইফতার পার্টি নিষিদ্ধ করেছে। তারা দেশ থেকে ইসলামী সংস্কৃতিগুলো বাদ দিতে পাঁয়তারা করছে। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এজন্য আজ গণইফতার কর্মসূচি গ্রহণ করেছি এবং সবাইকে আমাদের ইফতার কর্মসূচিতে আসার দাওয়াত দিচ্ছি।”
এর আগে সোমবার (১১ মার্চ) শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবি প্রশাসন ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ইফতার পার্টির আয়োজন না করার নির্দেশনা দিয়ে নোটিশ জারি করে। সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন করে একদল শিক্ষার্থী। সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে আয়োজিত ওই মানববন্ধনে তারা রোজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবিতে ইফতার পার্টি নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদ জানান। পরে তারা রমজান মাসকে গ্রহণ করে মিছিল বের করেন। তারই ঘণ্টা খানেক যেতে টিএসসিতে গণইফতার কর্মসূচি পালনের ঘোষণা আসে।