বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. একে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেছেন, “আমাদের ইচ্ছা ছিল কৃষি গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার। তবে দেশের সামগ্রিক অবস্থা এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে বের হইনি।”
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাবির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের কলা, আইন এবং সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, “আগামী বছর অবশ্যই চেষ্টা করব কৃষি গুচ্ছ থেকে বের হয়ে যাওয়ার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মতো আলাদা আলাদা বিভাগে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।”
ফজলুল হক ভূঁইয়া আরও বলেন, “কৃষি গুচ্ছ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল যাতে শিক্ষার্থীরা কম খরচে এবং কম কষ্টে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে। তবে পরীক্ষার তারিখ বিলম্ব হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে যায়, যার ফলে পরীক্ষায় উপস্থিতির হার কিছুটা কমে যায়। তবে যারা কৃষিবিদ হতে চায়, তারা অবশ্যই পরীক্ষায় অংশ নেয়।”
বাকৃবির ১৮টি জোনে ১৭০টি কক্ষে ৮ হাজার ২৭১ জন পরীক্ষার্থীর আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এর মধ্যে উপস্থিতি হার ছিল ৯৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
বাকৃবির কোনো কেন্দ্রে প্রশ্নফাঁস এবং নকলের মতো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।