বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসন।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখের দিন সকাল সোয়া আটটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলম তার বাসভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারি ও শিক্ষার্থীদের নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
ওই দিন সকাল পৌনে দশটায় প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, অফিস, হল, জাবি স্কুল ও কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারি, ছাত্র-ছাত্রী এবং মহিলা ক্লাব ও ক্যাম্পাসবাসীর অংশগ্রহণে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ভবন থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হবে। শোভাযাত্রাটি শেষ হবে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে গিয়ে।
বর্ষবরণ উদযাপন কমিটির সভাপতি ও চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শামীম রেজা বলেন, “এ বছর রোজার ছুটি হয়ে যাওয়ায় আমরা শুধু মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করেছি। এবারের প্রতিপাদ্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান- ‘বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি’। প্রতীক হিসেবে আমরা কবুতরকে বেছে নিয়েছি। এটি হলো শান্তির প্রতীক। এর পাশাপাশি লোকজ ঐতিহ্যগুলোও বিভিন্ন প্রতীকির মাধ্যমে মঙ্গল শোভাযাত্রায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হবে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সভাপতি ফারহানা তাবাসসুম বলেন, “প্রতি বছরই বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ কর্তৃক আমরা মঙ্গল শোভাযাত্রার পাশাপাশি আরও অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। এবার রমজানের ছুটি হয়ে যাওয়ায় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী কম রয়েছে। এজন্য আমরা শুধু মঙ্গল শোভাযাত্রাই রেখেছি।”
এদিকে বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে জাবি প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রারের (চুক্তিভিত্তিক) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পহেলা বৈশাখের দিন দাপ্তরিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ ব্যাতিত ক্যাম্পাসের বাইরের মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে। ওই দিন বহিরাগত গাড়ীর প্রবেশ/চলাচল সীমিত রাখা হবে এবং কেন্দ্রীয় মসজিদের পশ্চিমে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। মঙ্গল শোভাযাত্রায় একটি মাত্র ব্যানার থাকবে। তবে কুলা, ডালা ইত্যাদিতে প্রতিপাদ্য লিখে শোভাযাত্রা অংশগ্রহণ করা যাবে।
এতে আরও বলা হয়, মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বর্ণাঢ্য করার লক্ষ্যে অধিকসংখ্যক ফেস্টুন/প্ল্যাকার্ড তৈরির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। মুখোশ পরে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করা যাবে না, তবে মুখোশ হাতে নেওয়া যাবে। এছাড়া পহেলা বৈশাখে কোনো রং ছিটানো যাবে না। কেউ রং ছিটালে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচির সঙ্গে সমন্বয় করে বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, হল ও অফিস নিজ নিজ উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের কর্মসূচি পালন করবে। এ ছাড়াও ঢাকা শহরে অবস্থানরত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে আসা যাওয়ার জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা করা হবে।