ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পৃথক দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে পিএইচডি থিসিসে চৌর্যবৃত্তির (প্লেজিয়ারিজম) এবং নারী শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট।
সোমবার (১ এপ্রিল) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য বিষয়টি সংবাদ প্রকাশকে নিশ্চিত করেছেন।
সিন্ডিকেট সদস্য সূত্রে জানা যায়, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক দাউদ খানের বিরুদ্ধে পিএইচডি থিসিসে চৌর্যবৃত্তির (প্লেজিয়ারিজম) অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আব্দুল বাছিরকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক আবুল মনসুর আহাম্মদ ও ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক নাসিরউদ্দিন মুন্সী।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।
সিন্ডিকেট সদস্যরা জানান, অধ্যাপক ফেরদৌস জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন। ওই বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী প্রথমে বিভাগে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ জানালে পরে সেটি সিন্ডিকেটে আসে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছে সিন্ডিকেট।
আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক সীমা জামানকে প্রধান করে গঠিত তিন সদস্যের এই কমিটিতে আরও রয়েছেন হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাসুদুর রহমান ও সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহ।
এর আগে রোববার রাতে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।