ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে পরীক্ষার নম্বর কম দিয়ে ফল খারাপ করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠার তিন দিনের মাথায় এবার বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে অধ্যাপক নাদির জুনায়েদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্লাশ-পরীক্ষা বর্জন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক আবুল মনসুর আহাম্মদের অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় চেয়ারপারসনের অফিস থেকে একাধিক শিক্ষক এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়।
এই বিক্ষোভে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৩, ১৪, ১৫, ১৬ ও ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা রয়েছেন। বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক নাদির জুনাইদকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। পরে তার নিজের কক্ষের দরজায় ‘যৌন নিপীড়ক অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত’ সংবলিত একটি পোস্টার ঝুলিয়ে দেন।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো— অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে আনা যৌন নিপীড়নের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে; যৌন নিপীড়ককে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাস্তির আওতায় আনতে হবে; তদন্ত চলাকালে বা অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সকল অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে বিরত রাখতে হবে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই অধ্যাপকের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এর আগে বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কম নম্বর দেওয়ার অভিযোগ তুলে উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একটি ব্যাচের ২৮ শিক্ষার্থী। তাদের অভিযোগ, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পরীক্ষার ফল খারাপ করিয়ে দিয়েছেন এই শিক্ষক।
এরই তিনদিনের মাথায় শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই শিক্ষার্থী। যেখানে ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, শিক্ষক নাদির জুনাইদ তাকে প্রায়ই অরুচিকর কথাবার্তা বলতেন। রাতে কল করে নানা অশালীন প্রস্তাব দিতেন।