সরকারি ৯টি কৃষি-সংক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার (১২ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে। এই ভর্তি পরীক্ষা ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র এবং ১৩টি উপকেন্দ্রে একযোগে বিকেল ৩-৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, এ বছর মোট ৩ হাজার ৮৬৩টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৯৪ হাজার ২০ জন। আবেদনকারীদের মধ্যে ৪৬ হাজার ৯৩২ জন ছাত্র এবং ৪৭ হাজার ৮৮ জন ছাত্রী রয়েছেন। অর্থাৎ প্রতি আসনের জন্য প্রতিযোগিতার সংখ্যা প্রায় ২৫ জন শিক্ষার্থী। এ ছাড়া সম্ভাব্য আগামী ১৫ এপ্রিল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
ভর্তিচ্ছুদের সহায়তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন সংগঠন ও অনুষদের পক্ষ থেকে স্টল স্থাপন করা হয়েছে।
জানা গেছে, এসব স্টল থেকে ভর্তিচ্ছুরা পরীক্ষা হলের অবস্থান, পরীক্ষার গাইডলাইনসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা পাবেন।
সরেজমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্ট পরিদর্শন করে দেখা যায়, দূরবর্তী স্থান থেকে আসা শিক্ষার্থীরা দলে দলে বিভিন্ন হলে উঠছেন। এ ছাড়া দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তিচ্ছুদের সাদরে গ্রহণ করতে দেখা যায়।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কেন্দ্রে ভর্তিচ্ছুরা এক্সাম হল ফাইন্ডার নামের একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে নিজেদের রোল নম্বর ও কক্ষ নম্বর ইনপুট দিলে জিপিএস এবং গুগল ম্যাপের সাহায্যে অ্যাপটি পরীক্ষার হলের দিকনির্দেশনা দেবে। এটি উদ্ভাবন করেছেন বাকৃবির বায়োইনফরমেটিকস বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
ভর্তিচ্ছুদের সতর্ক করে কৃষি গুচ্ছ কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্য-সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. হেলাল উদ্দিন জানান, পরীক্ষার দিন ‘মার্চ টু গাজা’ কর্মসূচির কারণে সড়কে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য ভর্তিচ্ছুদের আগেভাগেই রওনা হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাদের পরীক্ষা শুরুর অন্তত ১ ঘণ্টা আগে কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। ভর্তিচ্ছুদের কেন্দ্র পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। কেউ যদি অসাধু উপায় অবলম্বনের চেষ্টা করে, তবে তার পরীক্ষা বাতিল করা হবে।
হেলাল উদ্দিন আরও জানান, প্রশ্নপত্র প্রতিটি কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে জিপিএস ট্র্যাকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে নজরদারি রাখা হয়েছে। কোন প্রশ্নপত্র কোথায় এবং কতদূর অগ্রসর হয়েছে, তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে প্রশ্নপত্র ফাঁসেরও কোনো সুযোগ নেই।