রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) একাডেমিক ভবনের দেয়ালগুলোতে লাগামহীনভাবে লাগানো হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপনী পোস্টার। এতে ভবনগুলোর সৌন্দর্য নষ্টের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মো. শহীদুল্লাহ একাডেমিক ভবন ও মমতাজউদ্দিন একাডেমিক ভবনের সামনের ও গেটের দেয়ালগুলো বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপনী পোস্টারে ছেয়ে গেছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবন ও সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী একাডেমিক ভবনের দেয়ালগুলোতেও লাগানো হয়েছে পোস্টার।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শহীদুল্লাহ একাডেমিক ভবনের একজন নিরাপত্তাকর্মী বলেন, “রাতে অপরিচিত যুবকরা এসে পোস্টার লাগিয়ে চলে যায়। পরিচয় জানতে চাইলে বলে তারা আমাদের ক্যাম্পাসেরই। আমরা অনেক সময়ই মানা করেছি, কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয় না।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাদমান সাকিব চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “একটি ভবনের গেটের অভ্যন্তরে ও দেয়ালে যেভাবে পোস্টার লাগানো হয়েছে, সে বিষয়টি নিন্দার উদ্রেক করে। এই ধরনের গর্হিত কাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও সৌন্দর্য বিনষ্ট করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিষয়টি নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।”
আরেক শিক্ষার্থী আতিক হাসান বলেন, “একাডেমিক বিল্ডিংয়ের যে সৌন্দর্য থাকার কথা, সেটি নষ্টের প্রধান কারণ হচ্ছে মূল ফটকে থাকা এই পোস্টার। বিল্ডিংয়ে ঢুকতে গেলে মনে হয় এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক বিল্ডিং নয় বরং কোনো লোকাল বাসস্ট্যান্ড। বিভিন্ন সময়ে বাসা থেকে আত্মীয়-স্বজন ক্যাম্পাসে এলে তাদের নিজের ক্লাসরুম দেখাতে গিয়ে এই পোস্টারের কারণে লজ্জায় পড়তে হয়।”
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন খান এ প্রসঙ্গে বলেন, “একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে পোস্টার লাগানো কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। কার নির্দেশে তারা ভবনের অভ্যন্তরে ও গেটে পোস্টার লাগাচ্ছে? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত বিষয়টি দেখে অনতিবিলম্বে এসব পোস্টার অপসারণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, “একাডেমিক ভবনের দেয়ালে এসব পোস্টার লাগানোর কোনো সুযোগ নেই। আমরা খোঁজ নিচ্ছি কারা এগুলো লাগাচ্ছে।”