আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল ও নিষিদ্ধকরণ এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ছাত্রজনতার হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিলের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড়ে একত্রিত হতে থাকেন। এরপর সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে দিয়ে কেআর মার্কেটে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে হাবিবুল হাসান বলেন, “আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে এলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ আরও কলুষিত হবে। যারা চেষ্টা করবে আওয়ামী লীগকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে, বাংলার জনগণ তাদের রাস্তায় পিষে ছুড়ে ডাস্টবিনে ফেলে দেবে।”
ইউনুস বিন হোসাইন খান বলেন, “গত ১৬ বছরে আমরা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রত্যক্ষ করেছি, যেখানে গুম, খুন ও ধর্ষণের সংস্কৃতি চালু ছিল। আমরা আর সেই ধরনের রাজনীতি দেখতে চাই না। ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলার জনগণ এই রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা বাংলাদেশের মাটিতে ফ্যাসিবাদী রাজনীতি দেখতে চাই না। যদি কোনো সুশীল, কোনো শাহবাগী, কোনো গোষ্ঠী ভারতের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করে, তাকে আমরা শক্ত হাতে প্রতিরোধ করব। আমরা ছাত্রজনতা আবার রক্ত দিয়ে রাজপথে থেকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ব। বাংলাদেশে অদূর ভবিষ্যতে কখনো আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে কেবল গণহত্যার বিচারের মাধ্যমে।”