• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

প্রবেশপত্র না পেয়ে দুশ্চিন্তায় ৯৬ পরীক্ষার্থী, অভিভাবকদের বিক্ষোভ


জামালপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৪, ০৬:৩৬ পিএম
প্রবেশপত্র না পেয়ে দুশ্চিন্তায় ৯৬ পরীক্ষার্থী, অভিভাবকদের বিক্ষোভ
পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৩০ জুন সারা দেশে একযোগে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ভালো প্রস্তুতির জন্য শিক্ষার্থী যেমন ব্যস্ত তেমনি অভিভাবকরাও আশায় বুক বেঁধেছেন। তবে এর উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে জামালপুর শহরের বেলটিয়ায় শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে।

প্রতিষ্ঠানটির ৯৬ জন পরীক্ষার্থী এখনও পরীক্ষার প্রবেশপত্র হাতে পাননি। দফায় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়েও হাতে পাননি প্রবেশপত্র। শিক্ষার্থীরা জানান, সব প্রতিষ্ঠানেই গত ২৩ জুন প্রবেশপত্র বিতরণ করা হয়েছে। অথচ তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে খালি হাতে ফিরেছেন। হতাশ হয়ে তারা অধ্যক্ষকে প্রবেশপত্র দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।

তবে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে পরীক্ষার্থীরা জানতে পারেন তাদের প্রতিষ্ঠান শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজটির কলেজ পর্যায়ের কোনো অনুমোদনই নেই। ফলে তাদের রেজিস্ট্রেশন ও ফরম ফিলাপ হয়নি।

ঘটনা জানার পর ক্ষুব্ধ হন অভিভাবকরা। তারা সন্তানদের নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যান প্রবেশপত্র নিতে। কিন্তু না পেয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল ফটকে দুপুরে বিক্ষোভ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। খবর জাগোনিউজের।

অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তাদের সন্তানরা দুই বছর ধরে প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করছে। নিয়মিত বেতন ও ফি পরিশোধ করা হয়েছে। ফরম ফিলাপ ও রেজিস্ট্রেশন বাবদ ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। তারপরও ফরম ফিলাপ ও রেজিস্ট্রেশন হয়নি। বিষয়টা আগে থেকে আমাদের জানানোও হয়ন।

অভিভাবকদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম সেলিমের অবহেলায় তাদের সন্তানদের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অনিশ্চিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তারা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির উপাধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, এ ঘটনায় অধ্যক্ষককে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দিয়েছে পরিচালনা পর্ষদ। তবে যেসব শিক্ষার্থী প্রবেশপত্র না পাওয়ার অভিযোগ করেছে, তাদের সঙ্গে শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে জামালপুর জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান বলেন, বিষয়টি জানার পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বিষয়টি দেখভাল করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

Link copied!