• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গুচ্ছে ভর্তির ফি কমানোসহ ৯ দাবি জবি শিক্ষক সমিতির


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২৩, ০৬:১৭ পিএম
গুচ্ছে ভর্তির ফি কমানোসহ ৯ দাবি জবি শিক্ষক সমিতির

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ফি কমানোসহ শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের ভোগান্তি লাঘবে ৯টি দাবি জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জবিশিস)।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে অনলাইনে এক জরুরি সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এসব দাবি জানানো হয়। জরুরি এই সভায় ১১৮ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। রাত প্রায় ১২টা পর্যন্ত চলা এ সভায় প্রায় ২০ জন শিক্ষক তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।

দাবিগুলো হলো-

১. ভর্তির আবেদন ফি সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। পরীক্ষা পরিচালনার জন্য অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ভর্তুকি দিতে পারে।

২. পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত স্কোর ও মেধাক্রম অবশ্যই প্রকাশ করতে হবে।

৩. ভর্তির আবেদন ফি ব্যতীত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন, মাইগ্রেশন, ভর্তি বাতিল বা অন্য কোনো কারণে অর্থ প্রদান করবে না।

৪. পরীক্ষা পরিচালনা, পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকান্ড এবং সুস্পষ্ট আর্থিক নীতিমালা অনতিবিলম্বে প্রণয়ন করে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলকে জানাতে হবে।

৫. ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের আয়-ব্যয়ের হিসাব দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিস্তারিত আকারে প্রকাশ করতে হবে।

৬. আসন সংখ্যার ভিত্তিতে নয় বরং গুচ্ছভূক্ত প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনুযায়ী কেন্দ্র ও অন্যান্য ফি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রদান করতে হবে।

৭. ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার সম্মানী বাবদ উপাচার্য, উপউপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্টারসহ অন্যান্য কর্মকর্তা, শিক্ষকগণ কোন কাজের জন্য, কে কি পরিমাণ সম্মানী গ্রহণ করেছেন তার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ প্রকাশ করতে হবে।

৮. ভর্তির সকল প্রক্রিয়া শেষ করে ১ জুলাই ২০২৩ থেকে ক্লাশ শুরু করতে হবে।

৯. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকল্পে এবং ভিসি মহোদয়ের কাজের সুবিধার্থে অন্তত ৬ মাসের জন্য হলেও একটি নির্দেশনা জারি করার দাবি জানাচ্ছি যে, ভিসি মহোদয়ের কক্ষে কোনো শিক্ষক যেন অপ্রয়োজনে আনাগোনা করতে না পারেন। সাক্ষাতের জন্য অনুমতি নিয়ে ঢুকবেন এবং কাজ শেষে অকারণে বসে না থেকে বের হয়ে যাবেন।

Link copied!