প্রজ্ঞাপন জারি করে নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল ও পাঠ্য বিষয়ের ব্যাপক সংশোধন করাসহ শিক্ষাক্ষেত্র সংস্কারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে ৯ দফা প্রস্তাব জানিয়েছে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়।
সংগঠনটির অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো নতুন শিক্ষাক্রমের জন্য রচিত পাঠ্যপুস্তক সংশোধন করে সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতির (কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নপদ্ধতি) উপযোগী পাঠ্যপুস্তক দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রণয়ন করা; সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি বাতিল করে এডহক কমিটি গঠন করা; পূর্ববর্তী সরকারের আমলে দলীয়ভাবে নিয়োগকৃত অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সব পর্যায়ের কর্মচারীর এমপিওর জন্য আবেদনপত্র ও তাদের নিয়োগ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান দলীয় শপথ বাতিল করে পূর্বের শপথ চালু করা; অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষক/সহকারী প্রধান শিক্ষকের বর্তমান নিয়োগ বিধি বাতিল করে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ) শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ প্রদান করা।
একই সঙ্গে জনবল কাঠামো সম্পর্কিত নির্দেশিকা ২০১০-এর মার্চ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত সংশোধিত নিয়োগ বিধান চালু করা; অবসর সুবিধা/কল্যাণ ট্রাস্টের ভোগান্তি বন্ধ করা; অবসর সুবিধা/কল্যাণ ট্রাস্টের কমিটি পুনর্গঠন করা এবং অন্যায়ভাবে বরখাস্তকৃত শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করে বকেয়াসহ বেতন-ভাতা প্রদানের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
মন্ত্রণালয়ের সচিব ছাড়াও ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া এবং অতিরিক্ত মহাসচিব মো. জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এই চিঠির অনুলিপি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়।